ঢাকা ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সহকারী এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রনভীরের উদ্যোগে মসজিদ নির্মান সুন্দরগঞ্জে মালতোলা হিলফুল ফুজুল সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ঘর উপহার গাজীপুরে বিএসটিআই ও র‍্যাবের যৌথ অভিযানে ৫ লক্ষ্য টাকা জরিমানা ভোলায় নৌবাহিনীর অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক “নিয়মিত ঘুম, তবুও চোখের চারপাশ শুকনো—অজানা কারণ জেনে নিন” দেশসেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভাবনীয় সাফল্য ‘ভগবৎ চ্যাপ্টার ওয়ান: রাক্ষস’— কী আছে এই সিনেমায়? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুনর্নিয়োগ, পদ সংখ্যা ১২৭ জন্মদিনে উচ্চ স্বরে গান, ভিনিসিয়ুসের বিরুদ্ধে মামলা রূপনগরের আগুন: তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন

তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদের মূল শিক্ষা

  • NUSRAT JAHAN
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

তাওহিদ বা মহান আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ইসলামের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার মৌলিক ও সর্বপ্রধান বিষয়। ইসলামী শরিয়ার নীতিমালা, হুকুম-আহকাম ও জীবন নির্দেশিকা এই তাওহিদের ধারণা ও বিশ্বাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাওহিদের মূল শিক্ষা নিম্নরূপ :

পার্থিব-অপার্থিব সব সুখ-শান্তি তাওহিদি আকিদার ওপর নির্ভরশীল। এর বিপরীত ধারা পার্থিব লাঞ্ছনা অশান্তি ও অপার্থিব দুঃখ-দুর্দশার কারণ হয়ে থাকে। 

আল-কোরআনের বাণী : ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে সে যেন আকাশ থেকে পড়ে গেল, অতঃপর তাকে পাখি ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে অথবা বাতাস তাকে নিক্ষেপ করবে অনেক দূরবর্তী কোনো স্থানে।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৩১)।

পারস্পরিক সৌহার্দ্য, স্নেহ ও মমতাপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণে একত্ববাদের বিশ্বাস এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ বিশ্বাসের একত্ব যখন মানবিকতার একত্ব সৃষ্টি করে তখন সমাজ সুন্দর ও সুষ্ঠু এবং সৌহার্দ্যময় হয়ে থাকে। তাওহিদের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো ইবাদত-বন্দেগি একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত হবে।

কারণ মুশরিকদের উপাস্যগুলো তাদের কোনো ধরনের ভালো-মন্দ করতে অক্ষম। আর অক্ষম কোনো বস্তু ইসলামের অযোগ্য। কোরআনের ভাষায় : ‘বলুন হে নবী! হে আহলে কিতাব! তোমরা এমন এক বাণী ও মতাদর্শের দিকে আসো, যা আমাদের ও তোমাদের জন্য এক ও অভিন্ন যে আমরা শুধু আল্লাহর ইবাদত করব; তাঁর সঙ্গে কাউকে অংশীদার করব না এবং আল্লাহ ছাড়া আমাদের পরস্পরকে রব হিসেবে গ্রহণ করব না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৬৪)।

তাওহিদের অন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো, মানুষ তার জীবন পরিচালনা করবে আল্লাহর দেওয়া পথনির্দেশিকা ও বিধি-নিষেধ মোতাবেক। অন্য কোনো মানব রচিত মতবাদ তার জীবনে প্রভাব ফেলবে না। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের সব খুঁটিনাটি এবং ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক জীবন পর্যন্ত এককথায় জীবনের সব ক্ষেত্রে পরিচালিত হবে এক আল্লাহর নীতির আলোকে। আল্লাহ বলেন, ‘হুকুম একমাত্র আল্লাহরই।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৫৭)।

আল্লাহর জন্য আত্মসমর্পণ ও আনুগত্য একমাত্র তাঁর জন্য নির্ধারণ করা তাওহিদি বিশ্বাসের মূলমন্ত্র। পবিত্র কোরআনে এসেছে : ‘তোমরা আল্লাহকে এবং তাঁর রাসুলকে অনুসরণ করো।’ (সুরা : তাগাবুন, আয়াত : ১২)।

মোট কথা, তাওহিদ হলো সব পূর্ণতার অধিকারী হিসেবে আল্লাহকে এক, একক ও অংশীহীন মনে করা। এবং একান্তভাবে তাঁর জন্য ইবাদতকে নির্দিষ্ট করা। জীবনে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তাঁর দেওয়া পথ ও পন্থা অনুসরণ করা।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সহকারী এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রনভীরের উদ্যোগে মসজিদ নির্মান

তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদের মূল শিক্ষা

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

তাওহিদ বা মহান আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ইসলামের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার মৌলিক ও সর্বপ্রধান বিষয়। ইসলামী শরিয়ার নীতিমালা, হুকুম-আহকাম ও জীবন নির্দেশিকা এই তাওহিদের ধারণা ও বিশ্বাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাওহিদের মূল শিক্ষা নিম্নরূপ :

পার্থিব-অপার্থিব সব সুখ-শান্তি তাওহিদি আকিদার ওপর নির্ভরশীল। এর বিপরীত ধারা পার্থিব লাঞ্ছনা অশান্তি ও অপার্থিব দুঃখ-দুর্দশার কারণ হয়ে থাকে। 

আল-কোরআনের বাণী : ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শিরক করে সে যেন আকাশ থেকে পড়ে গেল, অতঃপর তাকে পাখি ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে অথবা বাতাস তাকে নিক্ষেপ করবে অনেক দূরবর্তী কোনো স্থানে।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৩১)।

পারস্পরিক সৌহার্দ্য, স্নেহ ও মমতাপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণে একত্ববাদের বিশ্বাস এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ বিশ্বাসের একত্ব যখন মানবিকতার একত্ব সৃষ্টি করে তখন সমাজ সুন্দর ও সুষ্ঠু এবং সৌহার্দ্যময় হয়ে থাকে। তাওহিদের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো ইবাদত-বন্দেগি একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত হবে।

কারণ মুশরিকদের উপাস্যগুলো তাদের কোনো ধরনের ভালো-মন্দ করতে অক্ষম। আর অক্ষম কোনো বস্তু ইসলামের অযোগ্য। কোরআনের ভাষায় : ‘বলুন হে নবী! হে আহলে কিতাব! তোমরা এমন এক বাণী ও মতাদর্শের দিকে আসো, যা আমাদের ও তোমাদের জন্য এক ও অভিন্ন যে আমরা শুধু আল্লাহর ইবাদত করব; তাঁর সঙ্গে কাউকে অংশীদার করব না এবং আল্লাহ ছাড়া আমাদের পরস্পরকে রব হিসেবে গ্রহণ করব না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৬৪)।

তাওহিদের অন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো, মানুষ তার জীবন পরিচালনা করবে আল্লাহর দেওয়া পথনির্দেশিকা ও বিধি-নিষেধ মোতাবেক। অন্য কোনো মানব রচিত মতবাদ তার জীবনে প্রভাব ফেলবে না। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের সব খুঁটিনাটি এবং ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক জীবন পর্যন্ত এককথায় জীবনের সব ক্ষেত্রে পরিচালিত হবে এক আল্লাহর নীতির আলোকে। আল্লাহ বলেন, ‘হুকুম একমাত্র আল্লাহরই।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৫৭)।

আল্লাহর জন্য আত্মসমর্পণ ও আনুগত্য একমাত্র তাঁর জন্য নির্ধারণ করা তাওহিদি বিশ্বাসের মূলমন্ত্র। পবিত্র কোরআনে এসেছে : ‘তোমরা আল্লাহকে এবং তাঁর রাসুলকে অনুসরণ করো।’ (সুরা : তাগাবুন, আয়াত : ১২)।

মোট কথা, তাওহিদ হলো সব পূর্ণতার অধিকারী হিসেবে আল্লাহকে এক, একক ও অংশীহীন মনে করা। এবং একান্তভাবে তাঁর জন্য ইবাদতকে নির্দিষ্ট করা। জীবনে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তাঁর দেওয়া পথ ও পন্থা অনুসরণ করা।