ভোলার চরফ্যাশনে মো. সাইফুল ইসলাম নামের এক সাংবাদিককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে চরফ্যাশন পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সবুজ এর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে চরফ্যাশন পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম এর বসতবাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদের সামনে প্রকাশ্য হত্যার হুমকির ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় সাংবাদিক মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে চরফ্যাশন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিক চরফ্যাশন রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলা পত্রিকায় চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
সাংবাদিক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকলীগ নেতা সবুজের স্ত্রী একটি সরকারী প্রাইমারী স্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন। ২০২৫ সনের ২০ জানুয়ারী তার স্ত্রী শ্রেণী কক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্লাসে তার শিশু কন্যাকে টেবিলে বসিয়ে বাকবাকুম পায়রা কবিতা পাড়িয়ে ভিডিও চিত্র ধারন করেন। ওই ভিডিও তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে পোষ্ট করে ক্যাপশন লিখেন “ম্যাডাম যখন দ্বিতীয় শ্রেণীর ইংরেজি ক্লাসে বাকবাকুম পায়রা কবিতা শেখায়” এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এঘটনা নিয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। আমি তার প্রতিবেশী হওয়ায় তার স্ত্রীকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশে আমার ইন্দন রয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে সে আমার সাথে বিরোধ শুরু করেন। এনিয়ে শ্রমিকলীগ নেতা সবুজ আমার ওপরে ক্ষিপ্ত হন। আমাকে একধিকবার মামলায় হয়রানীর হুমকি দেন। ফের মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকলীগ নেতা আমার প্রতিবেশী হওয়ায় তার সঙ্গে মসজিদের সমানে দেখা হয়। তার স্ত্রীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ নিয়ে তর্ক হয়। ওই তর্কের জেরে এলাকার মানুষের সামনে প্রকাশ্যে আমাকে ও আমার বাবাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের তোপে মুখে তিনি ওই স্থান থেকে পালিয়ে যান।’
তিনি আরো অভিযোগ করেন, ওই শ্রমিকলীগ নেতা আমাকে ইতিপূর্বেও একধিকবার হত্যার হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু ফের আমাকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেয়ায় আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এঘটনায় আমি আইনি সহায়তা চেয়ে চরফ্যাশন থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছি।
অভিযুক্ত শ্রমিকলীগ নেতা সবুজ হুমকির বিষয় অস্বীকার করে জানান, তাদের সাথে আমার কোন বিরোধ নাই। তাকে হুমকি কেন দিবো।
চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, হুমকির ঘটনায় সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।