ঢাকা ১১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের কিংবদন্তি নির্মাতা নাসের আর বেচে নেই

  • Musabbir Khan
  • আপডেট সময় : ০৬:০৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

ইরানের কিংবদন্তি নির্মাতা নাসের আর বেচে নেই

বিশ্ববিখ্যাত ইরানি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার নাসের তাঘভাই মারা গেছেন। আজ সকালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। সামাজিক মাধ্যমে নাসেরের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী মারজিয়েহ ভাফামেহর।

জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ ‘মাই আঙ্কেল নেপোলিয়ন’ এর মাধ্যমে সর্বাধিক পরিচিত নাসের দীর্ঘ ছয় দশকের কর্মজীবনে ইরানি চলচ্চিত্রকে নতুন ভাষা ও গভীরতা দিয়েছেন।

১৯৪১ সালে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আবাদানে জন্মগ্রহণ করেন নাসের তাঘভাই। ষাট ও সত্তরের দশকে তিনি ইরানি চলচ্চিত্রে এক নতুন ধারার সূচনা করেন।

১৯৬৯ সালে ‘ক্লেম ইন দ্য প্রেজেন্স অফ আদারস’ চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ইরানি সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে দেয় ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া ক্লাসিক টেলিভিশন সিরিজ ‘মাই আঙ্কেল নেপোলিয়ন’, যা আজও ইরানি জনপ্রিয় সংস্কৃতির এক অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত।

তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘ক্যাপ্টেন খোরশিদ’ (১৯৮৭) আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। পরবর্তীতে তিনি ‘ওহ ইরান’ ও ‘পেপার ইউদাউট লাইন্স’ (২০০১) নির্মাণ করেন, যা ইরানি সমাজ ও রাজনীতির সূক্ষ্ম বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলে। সূত্র: ইরান ফ্রন্টপেজ।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের কিংবদন্তি নির্মাতা নাসের আর বেচে নেই

আপডেট সময় : ০৬:০৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্ববিখ্যাত ইরানি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার নাসের তাঘভাই মারা গেছেন। আজ সকালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। সামাজিক মাধ্যমে নাসেরের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী মারজিয়েহ ভাফামেহর।

জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ ‘মাই আঙ্কেল নেপোলিয়ন’ এর মাধ্যমে সর্বাধিক পরিচিত নাসের দীর্ঘ ছয় দশকের কর্মজীবনে ইরানি চলচ্চিত্রকে নতুন ভাষা ও গভীরতা দিয়েছেন।

১৯৪১ সালে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আবাদানে জন্মগ্রহণ করেন নাসের তাঘভাই। ষাট ও সত্তরের দশকে তিনি ইরানি চলচ্চিত্রে এক নতুন ধারার সূচনা করেন।

১৯৬৯ সালে ‘ক্লেম ইন দ্য প্রেজেন্স অফ আদারস’ চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ইরানি সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে দেয় ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া ক্লাসিক টেলিভিশন সিরিজ ‘মাই আঙ্কেল নেপোলিয়ন’, যা আজও ইরানি জনপ্রিয় সংস্কৃতির এক অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত।

তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘ক্যাপ্টেন খোরশিদ’ (১৯৮৭) আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। পরবর্তীতে তিনি ‘ওহ ইরান’ ও ‘পেপার ইউদাউট লাইন্স’ (২০০১) নির্মাণ করেন, যা ইরানি সমাজ ও রাজনীতির সূক্ষ্ম বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলে। সূত্র: ইরান ফ্রন্টপেজ।