চারদিকে ঘন অন্ধকার আর ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ। হঠাৎ বজলুল করিমের বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ, পুলিশ! দরজা খোলেন, মাদক অভিযান চলছে। চমকে ওঠে সবাই। অচেনা ভয় জড়িয়ে ধরে ঘরভর্তি মানুষকে। দরজা খুলতেই ঝট করে ঢুকে পড়ে পুলিশের পোশাক পরা ৮ জন পুরুষ। মুখে কঠিন দৃঢ়তা, চোখে আতঙ্ক ছড়ানো চাহনি।
কিন্তু খুব দ্রুতই সেই ভয় পায় অন্য রূপ। তল্লাশি”র নামে তারা উল্টেপাল্টে দেয় ঘরের প্রতিটি কোণা। মুহূর্তের মধ্যেই ঘরের শান্ত পরিবেশে নেমে আসে তাণ্ডব। আলমারির দরজা ভাঙে, শোকেজের ড্রয়ার ছিঁড়ে নেয়, বের করে নেয় ১৫-২০ ভরি স্বর্ণালংকার আর প্রায় ২০ হাজার টাকা।
হঠাৎই এক নারীর হৃদয়বিদারক চিৎকার ছিন্নভিন্ন করে দেয় রাতের নিস্তব্ধতা, ডাকাত! ডাকাত।
সেই চিৎকারেই যেন জেগে ওঠে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেজপাড়া। চারদিক থেকে ছুটে আসে গ্রামবাসী। কেউ হাতে লাঠি, কেউ কাস্তে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। আতঙ্কে প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দেয় ডাকাতরা। কিন্তু গ্রামের মানুষ হার মানে না। গ্রামের এক প্রান্তে ধরা পড়ে ৩ জন, বাকিরা অন্ধকারে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আটক তিনজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তারা ডাকাত দলের সদস্য বলে স্বীকার করেছে। বাকি সদস্যদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।