ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যেভাবে মহানবী (স.) কোরবানির মাংস বণ্টন করতেন

ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর অন্যতম উৎসব ও ইবাদত। সামর্থ্যবান পুরুষ-নারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। এটি ইসলামের মৌলিক ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।

আদম (আ.) থেকে শুরু করে সব নবীর যুগেই কোরবানি পালিত হয়েছে। এটি ‘শাআইরে ইসলাম’ তথা ইসলামের প্রতীকী বিধানাবলির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এর মাধ্যমে ‘শাআইরে ইসলামের’ বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এ ছাড়া গরিব-দুখী ও পাড়া-প্রতিবেশীর আপ্যায়নের ব্যবস্থা হয়।

এক হাদিসে তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করবে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ (মুসনাদে আহমদ হাদিস : ২/৩২১)

আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কুরবানি করা পশুর মাংস ভাগ করার একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোরবানির পশুর গোশত ভাগ করার নিয়মও বলে দিয়েছেন।

রাসুল সা. কোরবানির গোশত তিনভাগে বণ্টন করতেন। আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোরবানির গোশত একভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন, একভাগ গরিব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং একভাগ গরিব-মিসকিনদের দিতেন।

এ ছাড়া ইবন মাসঊদ রা. কোরবানির গোশত তিনভাগ করে একভাগ নিজেরা খেতেন, একভাগ যাকে চাইতেন তাকে খাওয়াতেন এবং একভাগ ফকির-মিসকিনকে দিতেন বলে উল্লেখ রয়েছে।

কোরবানির মাংস আত্মীয় ও গরিবদের মাঝে বিতরণ না করাটা খুবই গর্হিত কাজ। এতে কৃপণতা প্রকাশ পায়। কারণ কুরবানির মাধ্যমে কোরবানিদাতা অহংকার থেকে নিরাপদ থাকেন এবং তার অন্তর পরিশুদ্ধ থাকে।

আল্লাহ তাআলাও এটাই চান, বলেছেনও তাই- (মনে রেখো, কোরবানির জন্তুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনই পৌঁছে না; বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। (সুরা হজ : ৩৭)

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

যেভাবে মহানবী (স.) কোরবানির মাংস বণ্টন করতেন

আপডেট সময় : ০২:৩৪:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর অন্যতম উৎসব ও ইবাদত। সামর্থ্যবান পুরুষ-নারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। এটি ইসলামের মৌলিক ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।

আদম (আ.) থেকে শুরু করে সব নবীর যুগেই কোরবানি পালিত হয়েছে। এটি ‘শাআইরে ইসলাম’ তথা ইসলামের প্রতীকী বিধানাবলির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এর মাধ্যমে ‘শাআইরে ইসলামের’ বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এ ছাড়া গরিব-দুখী ও পাড়া-প্রতিবেশীর আপ্যায়নের ব্যবস্থা হয়।

এক হাদিসে তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করবে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ (মুসনাদে আহমদ হাদিস : ২/৩২১)

আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কুরবানি করা পশুর মাংস ভাগ করার একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোরবানির পশুর গোশত ভাগ করার নিয়মও বলে দিয়েছেন।

রাসুল সা. কোরবানির গোশত তিনভাগে বণ্টন করতেন। আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোরবানির গোশত একভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন, একভাগ গরিব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং একভাগ গরিব-মিসকিনদের দিতেন।

এ ছাড়া ইবন মাসঊদ রা. কোরবানির গোশত তিনভাগ করে একভাগ নিজেরা খেতেন, একভাগ যাকে চাইতেন তাকে খাওয়াতেন এবং একভাগ ফকির-মিসকিনকে দিতেন বলে উল্লেখ রয়েছে।

কোরবানির মাংস আত্মীয় ও গরিবদের মাঝে বিতরণ না করাটা খুবই গর্হিত কাজ। এতে কৃপণতা প্রকাশ পায়। কারণ কুরবানির মাধ্যমে কোরবানিদাতা অহংকার থেকে নিরাপদ থাকেন এবং তার অন্তর পরিশুদ্ধ থাকে।

আল্লাহ তাআলাও এটাই চান, বলেছেনও তাই- (মনে রেখো, কোরবানির জন্তুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনই পৌঁছে না; বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। (সুরা হজ : ৩৭)