ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিটারে ১০ টাকা কমল সয়াবিন তেলের দাম

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

আগামী ১ মার্চ থেকে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাক্সফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বোচ্চ বাজারমূল্য রমজানে প্রতি এক লিটারের বোতল ১৬৩ টাকা করার বিষয়ে আমরা একমতে পৌঁছেছি। যে মূল্যটা ছিল ১৭৩ টাকা এবং তার আগের বছরে ১৮৫ টাকার মতো ছিল। আর খুচরা পর্যায়েও আমরা যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনবো। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, খোলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ মূল্য থাকবে ১৪৯ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতল ৮০০ টাকায় বিক্রি হবে। আমরা আশা করছি এতে আমাদের ভোক্তা সাধারণ উপকৃত হবেন। যেহেতু তেলের সঙ্গে অনেক কিছু সম্পৃক্ত, ভোক্তা পর্যায়ে একটি স্বস্তি বাজারে আসবে।

 

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন, আমাদের সার্কুলারটা এসেছে ৮ ফেব্রুয়ারি। যে কোনো জাহাজের বিদেশ থেকে আসতে প্রায় এক মাস লেগে যায় এবং সেটা খালাস করে ভোক্তা পর্যায়ে যেতে মিনিমাম দুই মাস লেগে যায়। দুই মাস আমাদের রমজানের নেই। উনারা (ব্যবসায়ীরা) আমাদের বিশেষ অনুরোধে এই বাজারমূল্যটা ১ মার্চ থেকে কার্যকর করবেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা শুধু ভোজ্যতেলের বিষয়ে কথা বলেছি এবং দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। আমরা আশা করি, বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাকি যে পণ্যগুলো আছে, সেগুলোর দাম যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে।

তিনি বলেন, পাম অয়েল আমাদের বোতল আকারে আসে না। একটা বিষয় জানিয়ে রাখা দরকার, এই প্রথম আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েলের দাম সয়াবিনের থেকে বেশি। সুতরাং এটা যদি আমরা এখন পুনঃনির্ধারণ করতে যাই সেটা ভোক্তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে যাবে।

সাংবাদিকদের আর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১ মার্চ থেকে দামটা কার্যকর হবে। আমাদের এই ট্যারিফটা ১৫ তারিখ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এরপর প্রতিমাসে আমাদের যারা মিলমালিক আছেন, তাদের সঙ্গে বসে দাম রেগুলার বেসিসে পুনঃনির্ধারণ করে দেবো। কারণ আমাদের ব্যবসায়ীরা যদি ব্যবসা না করতে পারেন, তাহলে পণ্যের সরবরাহে সংকট দেখা দেবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

লিটারে ১০ টাকা কমল সয়াবিন তেলের দাম

আপডেট সময় : ০২:০৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আগামী ১ মার্চ থেকে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাক্সফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বোচ্চ বাজারমূল্য রমজানে প্রতি এক লিটারের বোতল ১৬৩ টাকা করার বিষয়ে আমরা একমতে পৌঁছেছি। যে মূল্যটা ছিল ১৭৩ টাকা এবং তার আগের বছরে ১৮৫ টাকার মতো ছিল। আর খুচরা পর্যায়েও আমরা যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনবো। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, খোলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ মূল্য থাকবে ১৪৯ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতল ৮০০ টাকায় বিক্রি হবে। আমরা আশা করছি এতে আমাদের ভোক্তা সাধারণ উপকৃত হবেন। যেহেতু তেলের সঙ্গে অনেক কিছু সম্পৃক্ত, ভোক্তা পর্যায়ে একটি স্বস্তি বাজারে আসবে।

 

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন, আমাদের সার্কুলারটা এসেছে ৮ ফেব্রুয়ারি। যে কোনো জাহাজের বিদেশ থেকে আসতে প্রায় এক মাস লেগে যায় এবং সেটা খালাস করে ভোক্তা পর্যায়ে যেতে মিনিমাম দুই মাস লেগে যায়। দুই মাস আমাদের রমজানের নেই। উনারা (ব্যবসায়ীরা) আমাদের বিশেষ অনুরোধে এই বাজারমূল্যটা ১ মার্চ থেকে কার্যকর করবেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা শুধু ভোজ্যতেলের বিষয়ে কথা বলেছি এবং দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। আমরা আশা করি, বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাকি যে পণ্যগুলো আছে, সেগুলোর দাম যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে।

তিনি বলেন, পাম অয়েল আমাদের বোতল আকারে আসে না। একটা বিষয় জানিয়ে রাখা দরকার, এই প্রথম আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েলের দাম সয়াবিনের থেকে বেশি। সুতরাং এটা যদি আমরা এখন পুনঃনির্ধারণ করতে যাই সেটা ভোক্তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে যাবে।

সাংবাদিকদের আর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১ মার্চ থেকে দামটা কার্যকর হবে। আমাদের এই ট্যারিফটা ১৫ তারিখ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এরপর প্রতিমাসে আমাদের যারা মিলমালিক আছেন, তাদের সঙ্গে বসে দাম রেগুলার বেসিসে পুনঃনির্ধারণ করে দেবো। কারণ আমাদের ব্যবসায়ীরা যদি ব্যবসা না করতে পারেন, তাহলে পণ্যের সরবরাহে সংকট দেখা দেবে।