যে ব্যক্তির ওপর কোরবানি ওয়াজিব সে যদি এককভাবে পশু কিনে কোরবানি করে অথবা অন্যের সঙ্গে ভাগে কোরবানি করে-উভয় অবস্থায় তার কোরবানি আদায় হয়ে যাবে। সুতরাং আপনি যদি ভাইদের সঙ্গে ভাগে কোরবানি দেন তাতে কোনো সমস্যা নেই।
জাবির (রা.) বলেন, আমরা হুদাইবিয়া নামক স্থানে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে একটি উটে সাতজন অংশীদার হয়ে এবং একটি গরুতেও সাতজন অংশীদার হয়ে কোরবানি করেছি। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ২৮০৯)
এ ক্ষেত্রে আত্মপ্রশান্তির জন্য আপনি আপনার অংশ বাড়িয়ে নিতে পারেন। যেমন-আপনার তিন ভাই তিন ভাগের টাকা দিল এবং আপনি চার ভাগের টাকা দিলেন। তবে সমানভাবে অংশ নিলেও কোনো সমস্যা নেই।
শরিকানায় বা ভাগে কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে অংশীদারের নিয়ত, বিশ্বাস ও উপার্জনের হালাল-হারাম বিবেচনা করা আবশ্যক। এ ছাড়া কোরবানির অন্য শর্তগুলোও গুরুত্বের সঙ্গে রক্ষা করা প্রয়োজন। ফাতাওয়ায়ে আলমগিরিতে বলা হয়েছে, ‘গরু ও উট সাতজনের পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে, যখন তাদের সবাই আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করবে। সাত সংখ্যা নির্ধারণের ফলে অতিরিক্ত অংশীদার গ্রহণ করা যাবে না। তবে সাতের কম অংশীদারে কোনো সমস্যা নেই।’ (৫/৩০৪)
আলেমরা বলেন, সবচেয়ে উত্তম হলো কোরবানির কিছুদিন আগে পশু কেনা এবং তা যত্নের সঙ্গে লালন-পালন করার পর কোরবানি দেওয়া। লালন-পালন থেকে কোরবানি দেওয়া পর্যন্ত সব কাজ আনন্দের সঙ্গে করলে আল্লাহর দরবারে অধিক সওয়াবের আশা করা যায়।
আল্লাহ সব বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন।