প্রায় ৭ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ার সাদমান ইসলামের। ক্যারিয়ারের এই সময়ে তার ঝুলিতে সেঞ্চুরি আছে মাত্র দুটি। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই হারারে টেস্টে ১১৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
সাদমানের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের প্রায় আড়াই বছরের অপেক্ষা ফুরোলো। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর তিন অঙ্কের দেখা পেলেন বাংলাদেশের ওপেনার। সবশেষ চট্টগ্রামেই শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন অভিষিক্ত জাকির হাসান।
টেস্টে একাধিক সেঞ্চুরি করা টাইগারদের তৃতীয় ওপেনার সাদমান ইসলাম। টেস্টে ওপেনাররা মোট ২০টি সেঞ্চুরি করেছেন। এর মধ্যে তামিম ইকবাল একাই করেছেন ১০টি। একাধিক সেঞ্চুরি আছে ইমরুল কায়েসেরও।
দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছেন। ১২০ রান করার পরেও সাদমান বললেন, নিজের ইনিংসটা আরও বড় করা যেত। ‘ইনিংসটা বড় করা যেত, ভালো পজিশন থেকে পিছিয়ে গেছি। ভালো পার্টনারশিপ হলে কাল আবার ভালো হয়ে যাবে।’
ভালো করার চেষ্টা করেছেন সাদমান। এমন ইনিংস খেলে অবশ্য অসন্তুষ্ট নন তিনি। ‘চেষ্টা করেছি দলকে যতটুকু দিতে, পেরেছি। সন্তুষ্ট। যেভাবে ব্যাটিং করেছি, সামনে টপ অর্ডারে আরও ভালো ইনিংস দেখা যাবে। সামনে কামব্যাক করবো।’

শেষ বেলায় এসে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে টাইগারদের মিডল-অর্ডার। সাদমান মনে করেন, শেষ বেলায় এসে ভালোভাবে সামলানো যেত। ‘বেটার সামলানো যেত শেষ বেলায়। ৩ টা উইকেট বেশি হারিয়েছে৷ ওইটা না হলে ১০০+ রানের লিড হতো। উইকেট দ্রুত না গেলে আরও ভালো অবস্থানে থাকতাম। রিভিউ নেয়নি কারণ শান্ত মানা করেছিলো।’
আগামীকাল তৃতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করবেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। তবে তাদের কাছ থেকে ভালো কিছুই আশা করছেন সাদমান। ‘মিরাজ-তাইজুলের কাছ থেকে ভালো পার্টনারশিপ চাই। বোলাররা ভালো বল করলে ভালো কামব্যাক করবো। গতকাল (২৮ এপ্রিল) আর আজ সেইম মনে হইছে উইকেট।’
অনেকটা আচমকা টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। ডিপিএলে ভালো পারফর্ম করার কারণেই তাকে দলে নেয়া হয়েছে। অনেকে বলেছিলেন, সাদা বলে ভালো পারফর্ম করে হঠাৎ করে লাল বলে ভালো খেলতে পারবে তো বিজয়? তবে বিজয় ডিপিএলের সেই ধারাবাহিকতা কিছুটা ধরে রেখেছেন লাল বলেও। ওপেনিংয়ে নেমে ১১৮ রানের জুটি গড়েছেন সাদমানের সঙ্গে। নিজে খেলেছেন ৮০ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলেছেন বিজয়। সাদমানও বললেন তেমনটাই, ‘বিজয় স্ট্রাগল করেছে মনে হয়নি।’
সাদমান বলছেন, আলাদা পরিকল্পনা নয়, ইতিবাচক হয়েছেন ম্যাচ পরিস্থিতি দেখে, ‘এমন কোনো (ইনটেন্ট) নিয়ে ব্যাটিং করি না। অবশ্যই সুযোগ এলে বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করি। কখন কীভাবে খেলতে হয়, মাঠে বল যে রকম আসে, মেরিট অনুযায়ী খেলি।’