ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থমথমে গোয়ালন্দ, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ, গ্রেপ্তার ৫

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবার এলাকায় আজও (রোববার) থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। দরবার ও বাড়ির ভেতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শুধুই ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। এ ঘটনায় পুলিশ শনিবার রাতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে শুক্রবার গোয়ালন্দ দরবার শরীফে হামলায় নিহত যুবক মো. রাসেল মোল্লার (২৮) বাড়িতে এখন শুধুই স্বজনদের আহাজারি। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেনাপচা গ্রামের আজাদ মোল্লার ছেলে। রাসেল মোল্লা মোস্তফা মেটাল ইন্ড্রাস্ট্রিজে গাড়ি চালকের কাজ করতেন। তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলের বাবা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে রাসেল মোল্লার স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।

শনিবার দুপুরে রাসেল মোল্লার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মৃতদেহ তখনও বাড়িতে পৌঁছেনি। এরই মধ্যে বাড়িতে স্বজনরা ভিড় করেন। বাবা আজাদ মোল্লার কোলে রাসেল মোল্লার পাঁচ বছর বয়সী শিশু নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসমিন। ছোট্ট ইয়াসমিন দাদুকে মৃতদেহের খাটিয়া দেখিয়ে বলছে, ‘দাদু এটা দিয়ে কি করে?’ পাশের একজন উত্তর দিচ্ছে, ‘এখানে তোমার আব্বুকে শোয়ানো হবে।’ ইয়াসমিন তার দাদুকে বলছে, ‘তাহলে ঘর থেকে বালিশ এনে দাও, আব্বু এখানে শুবে।’

এ সময় আজাদ মোল্লা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার ছেলে কার কি ক্ষতি করেছিল যে তাকে হত্যা করতে হলো। সে কোম্পানির গাড়ি চালায়, শুক্রবারের দিন গোয়ালন্দ দরবারে গিয়েছিল। এতে কার এতবড় ক্ষতি করে ফেলেছিল। তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। প্রশাসনের লোকজন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেও আবার হামলা করে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এখন এই অবুঝ শিশু দু’টির ভবিষ্যত দেখবে কে? পরিবারে রাসেলই একমাত্র উপার্জক্ষম ছিল।’

স্থানীয়রা জানান, রাসেল খুবই শান্তশিষ্ট স্বভাবের মানুষ ছিলেন। কোনোদিন কারও সঙ্গে তার ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে, তা কেউ দেখেনি।

গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর বেলা তিনটা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় ‘নুরাল পাগলা’র দরবার বাড়িতে হামলা চালায় কথিত ‘তৌহিদী জনতা’। হামলাকারীরা ১৩ দিন আগে কবর দেওয়া নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে উল্লাস করে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় পুড়িয়ে দেয়। এরপর মরদেহের অবশিষ্ট ছাই ও দেহাবশেষ পদ্মা নদীর পানিতে ফেলে দেয়।

উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে প্রথমে হামলায় পাঁচজন পুলিশ সদস্য ও প্রশাসনের দু’জনসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। পুলিশের দুটি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আহত হয়ে মারা যান রাসেল মোল্লা।

পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা এবং সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ এনে মামলা করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। এতে অজ্ঞাত ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার ভোরে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মো. সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ মামলায় শনিবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালন্দ পাক দরবার শরীফের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক জনতা ভিড় করছে। তবে পুলিশ দরবারের ভেতরে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছে। দরবারের ভেতর একটি তিনতলা, একটি দুইতলা ভবন ও আরও ছোট ছোট বেশ কিছু একতলা এবং টিনের ঘর ছিল। টিনের ঘরগুলো ‘তৌহিদী জনতা’র দেওয়া আগুনে পুরোপুরি পুড়ে গেছে। দু’টি ভবনের প্রতিটি তলার প্রতিটি কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পর ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন পড়ে রয়েছে।

ভবন থেকে প্রায় দেড়শ গজ দূরে নুরাল পাগলের দরবার। সেখানে উঁচুতে একটি টিনশেড ঘরে বসে ভক্তদের সঙ্গে সময় কাটাতেন নুরুল হক। মৃত্যুর পর তার অপর পাশে তাঁকে কবর দেওয়া হয়। দরবারের ভেতরে এখন পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপ।

থানা পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইমান আকিদা রক্ষা কমিটির ব্যানারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফকির মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা দরবারের দিকে যেতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশ তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। এ সময় লোকজন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি গাড়ি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি’র গাড়ি ভাঙচুর করে। সেই সাথে ৫ পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের ২ জনকে পিটিয়ে ও ঢিল ছুঁড়ে আহত করে। এরপর তারা নুরাল পাগলের বাড়ি ও দরবারের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভবন ও দরবার শরীফ ভাঙচুর ও তাতে আগুন দেয়। এক পর্যায়ে নুরাল পাগালের লাশ কবর থেকে তুলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, সরকারি সম্পদ ধ্বংস ও পুলিশের ওপর হামলার ঘাটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া নুরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অপরদিকে নিহত রাসেল মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি বলে তিনি জানান।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

থমথমে গোয়ালন্দ, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ, গ্রেপ্তার ৫

আপডেট সময় : ০৪:৩৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবার এলাকায় আজও (রোববার) থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। দরবার ও বাড়ির ভেতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শুধুই ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। এ ঘটনায় পুলিশ শনিবার রাতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে শুক্রবার গোয়ালন্দ দরবার শরীফে হামলায় নিহত যুবক মো. রাসেল মোল্লার (২৮) বাড়িতে এখন শুধুই স্বজনদের আহাজারি। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেনাপচা গ্রামের আজাদ মোল্লার ছেলে। রাসেল মোল্লা মোস্তফা মেটাল ইন্ড্রাস্ট্রিজে গাড়ি চালকের কাজ করতেন। তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলের বাবা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে রাসেল মোল্লার স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।

শনিবার দুপুরে রাসেল মোল্লার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মৃতদেহ তখনও বাড়িতে পৌঁছেনি। এরই মধ্যে বাড়িতে স্বজনরা ভিড় করেন। বাবা আজাদ মোল্লার কোলে রাসেল মোল্লার পাঁচ বছর বয়সী শিশু নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসমিন। ছোট্ট ইয়াসমিন দাদুকে মৃতদেহের খাটিয়া দেখিয়ে বলছে, ‘দাদু এটা দিয়ে কি করে?’ পাশের একজন উত্তর দিচ্ছে, ‘এখানে তোমার আব্বুকে শোয়ানো হবে।’ ইয়াসমিন তার দাদুকে বলছে, ‘তাহলে ঘর থেকে বালিশ এনে দাও, আব্বু এখানে শুবে।’

এ সময় আজাদ মোল্লা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার ছেলে কার কি ক্ষতি করেছিল যে তাকে হত্যা করতে হলো। সে কোম্পানির গাড়ি চালায়, শুক্রবারের দিন গোয়ালন্দ দরবারে গিয়েছিল। এতে কার এতবড় ক্ষতি করে ফেলেছিল। তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। প্রশাসনের লোকজন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেও আবার হামলা করে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এখন এই অবুঝ শিশু দু’টির ভবিষ্যত দেখবে কে? পরিবারে রাসেলই একমাত্র উপার্জক্ষম ছিল।’

স্থানীয়রা জানান, রাসেল খুবই শান্তশিষ্ট স্বভাবের মানুষ ছিলেন। কোনোদিন কারও সঙ্গে তার ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে, তা কেউ দেখেনি।

গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর বেলা তিনটা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় ‘নুরাল পাগলা’র দরবার বাড়িতে হামলা চালায় কথিত ‘তৌহিদী জনতা’। হামলাকারীরা ১৩ দিন আগে কবর দেওয়া নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে উল্লাস করে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় পুড়িয়ে দেয়। এরপর মরদেহের অবশিষ্ট ছাই ও দেহাবশেষ পদ্মা নদীর পানিতে ফেলে দেয়।

উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে প্রথমে হামলায় পাঁচজন পুলিশ সদস্য ও প্রশাসনের দু’জনসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। পুলিশের দুটি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আহত হয়ে মারা যান রাসেল মোল্লা।

পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা এবং সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ এনে মামলা করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। এতে অজ্ঞাত ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার ভোরে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মো. সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ মামলায় শনিবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালন্দ পাক দরবার শরীফের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক জনতা ভিড় করছে। তবে পুলিশ দরবারের ভেতরে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছে। দরবারের ভেতর একটি তিনতলা, একটি দুইতলা ভবন ও আরও ছোট ছোট বেশ কিছু একতলা এবং টিনের ঘর ছিল। টিনের ঘরগুলো ‘তৌহিদী জনতা’র দেওয়া আগুনে পুরোপুরি পুড়ে গেছে। দু’টি ভবনের প্রতিটি তলার প্রতিটি কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পর ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন পড়ে রয়েছে।

ভবন থেকে প্রায় দেড়শ গজ দূরে নুরাল পাগলের দরবার। সেখানে উঁচুতে একটি টিনশেড ঘরে বসে ভক্তদের সঙ্গে সময় কাটাতেন নুরুল হক। মৃত্যুর পর তার অপর পাশে তাঁকে কবর দেওয়া হয়। দরবারের ভেতরে এখন পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপ।

থানা পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইমান আকিদা রক্ষা কমিটির ব্যানারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফকির মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা দরবারের দিকে যেতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশ তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। এ সময় লোকজন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি গাড়ি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি’র গাড়ি ভাঙচুর করে। সেই সাথে ৫ পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের ২ জনকে পিটিয়ে ও ঢিল ছুঁড়ে আহত করে। এরপর তারা নুরাল পাগলের বাড়ি ও দরবারের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভবন ও দরবার শরীফ ভাঙচুর ও তাতে আগুন দেয়। এক পর্যায়ে নুরাল পাগালের লাশ কবর থেকে তুলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, সরকারি সম্পদ ধ্বংস ও পুলিশের ওপর হামলার ঘাটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া নুরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অপরদিকে নিহত রাসেল মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি বলে তিনি জানান।