ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের টার্গেট, এরপর ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীর তাঁতিবাজারে স্বর্ণ কেনাবেচা করতে আসা ব্যবসায়ীদের টার্গেট করতো ডাকাতরা। নজর রাখতো ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনকারীদের দিকেও। এরপর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে করতো ডাকাতি।

রাজধানীর গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের পাশ থেকে এমন সাত ডাকাতকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। অভিযানের সময় কৌশলে পলিয়ে যায় চক্রের আরও পাঁচ সদস্য।

বৃহস্পতিবার সকালে মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চক্রের প্রধান দ্বীন ইসলাম ওরফে কাউছার আহমেদ ও কামাল হাওলাদার। বাকিরা তাদের সহযোগী আব্দুর রহমান হাওলাদার, মেহেদী হাসান ওরফে হাসান, বাবুল হাওলাদার, রমিজ তালুকদার ও জান্নাতুল ফেরদৌস। তাদের কাছে থেকে মাইক্রোবাস, ডিবির পোশাক, ওয়াকিটকি, ভুয়া আইডি কার্ড, হাতকড়া, খেলনা পিস্তল, পকেট রাউটার, মোবাইল ফোন ও লেজার লাইট জব্দ করা হয়েছে।

মাসুদ আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সক্রিয় ডাকাত। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজধানীর তাঁতিবাজারে আসা স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এবং ব্যাংক থেকে বড় অংকের টাকা উত্তোলনকারীদের টার্গেট করতো। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ডাকাতি করতো।

পুলিশের এই উপকমিশনার আরও বলেন, ডাকাতরা রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের দক্ষিণ পাশে লেগুনা স্ট্যান্ডের সামনে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শাহবাগ থানার একটি দল অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৪ থেকে ৫ জন কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ও পলাতকদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে।

মাসুদ আলম বলেন, নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দ্বীন ইসলামের নামে দশটি, আব্দুর রহমানের নামে তিনটি, মেহেদী হাসানের নামে চারটি, বাবুল হাওলাদারের নামে দুটি ও রমিজ তালুকদারের নামে চারটি ডাকাতির মামলা আছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের টার্গেট, এরপর ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি

আপডেট সময় : ০২:১৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীর তাঁতিবাজারে স্বর্ণ কেনাবেচা করতে আসা ব্যবসায়ীদের টার্গেট করতো ডাকাতরা। নজর রাখতো ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনকারীদের দিকেও। এরপর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে করতো ডাকাতি।

রাজধানীর গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের পাশ থেকে এমন সাত ডাকাতকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। অভিযানের সময় কৌশলে পলিয়ে যায় চক্রের আরও পাঁচ সদস্য।

বৃহস্পতিবার সকালে মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চক্রের প্রধান দ্বীন ইসলাম ওরফে কাউছার আহমেদ ও কামাল হাওলাদার। বাকিরা তাদের সহযোগী আব্দুর রহমান হাওলাদার, মেহেদী হাসান ওরফে হাসান, বাবুল হাওলাদার, রমিজ তালুকদার ও জান্নাতুল ফেরদৌস। তাদের কাছে থেকে মাইক্রোবাস, ডিবির পোশাক, ওয়াকিটকি, ভুয়া আইডি কার্ড, হাতকড়া, খেলনা পিস্তল, পকেট রাউটার, মোবাইল ফোন ও লেজার লাইট জব্দ করা হয়েছে।

মাসুদ আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সক্রিয় ডাকাত। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজধানীর তাঁতিবাজারে আসা স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এবং ব্যাংক থেকে বড় অংকের টাকা উত্তোলনকারীদের টার্গেট করতো। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ডাকাতি করতো।

পুলিশের এই উপকমিশনার আরও বলেন, ডাকাতরা রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের দক্ষিণ পাশে লেগুনা স্ট্যান্ডের সামনে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শাহবাগ থানার একটি দল অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৪ থেকে ৫ জন কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ও পলাতকদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে।

মাসুদ আলম বলেন, নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দ্বীন ইসলামের নামে দশটি, আব্দুর রহমানের নামে তিনটি, মেহেদী হাসানের নামে চারটি, বাবুল হাওলাদারের নামে দুটি ও রমিজ তালুকদারের নামে চারটি ডাকাতির মামলা আছে।