ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মামলা করে হুমকির মুখে বাদীর পরিবার

নাটোরের গুরুদাসপুরে মুদিদোকান ভাংচুর ও লুটপাটের মামলা করায় প্রতিপক্ষের হুমকির মুখে পড়েছে রাকিবুল হাসান সোহাগ ও তার পরিবার।

উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী চরপাড়া গ্রামে আবুল কালাম ও তার ছেলে রাকিবুল হাসান সোহাগকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়ায় নিরাপত্তা দাবী করেছেন তারা। এর প্রতিবাদে প্রতিবেশী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম ও তার ছেলে শিমুলের বিরুদ্ধে শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
ওই মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিলে চাঁদা না দেয়ায় আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে নজরুল ও তার লোকজন সোহাগের দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করেন। এতে প্রায় ১১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
বাদী সোহাগের মা সাবেক ইউপি সদস্য সেলিনা বেগম বলেন, ষড়যন্ত্র করে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষরা। আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের চাপে নজরুলের বিরুদ্ধে সেসময় থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ। বাধ্য হয়ে নির্দলীয় সরকারের সময় গত ১৪ জুলাই গুরুদাসপুর আমলী আদালতে নজরুল ও তার ছেলে শিমুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করে আমার ছেলে। মামলা করায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় আমরা পাল্টা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল ও তার ছেলে শিমুল বলেন- কালাম ও সোহাগ অস্ত্র, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামী। তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আমাদের বিরুদ্ধে দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নজরুল ও কালাম পরস্পর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। হঠাৎ আর্থিক লেনদেনের কারণে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। দু’পক্ষের বিরোধের কারণে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।#

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

মামলা করে হুমকির মুখে বাদীর পরিবার

আপডেট সময় : ০৭:৩০:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

নাটোরের গুরুদাসপুরে মুদিদোকান ভাংচুর ও লুটপাটের মামলা করায় প্রতিপক্ষের হুমকির মুখে পড়েছে রাকিবুল হাসান সোহাগ ও তার পরিবার।

উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী চরপাড়া গ্রামে আবুল কালাম ও তার ছেলে রাকিবুল হাসান সোহাগকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়ায় নিরাপত্তা দাবী করেছেন তারা। এর প্রতিবাদে প্রতিবেশী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম ও তার ছেলে শিমুলের বিরুদ্ধে শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
ওই মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিলে চাঁদা না দেয়ায় আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে নজরুল ও তার লোকজন সোহাগের দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করেন। এতে প্রায় ১১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
বাদী সোহাগের মা সাবেক ইউপি সদস্য সেলিনা বেগম বলেন, ষড়যন্ত্র করে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষরা। আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের চাপে নজরুলের বিরুদ্ধে সেসময় থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ। বাধ্য হয়ে নির্দলীয় সরকারের সময় গত ১৪ জুলাই গুরুদাসপুর আমলী আদালতে নজরুল ও তার ছেলে শিমুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করে আমার ছেলে। মামলা করায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় আমরা পাল্টা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল ও তার ছেলে শিমুল বলেন- কালাম ও সোহাগ অস্ত্র, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামী। তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আমাদের বিরুদ্ধে দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নজরুল ও কালাম পরস্পর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। হঠাৎ আর্থিক লেনদেনের কারণে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। দু’পক্ষের বিরোধের কারণে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।#