ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুষ্টিয়ায় বিজিবির অভিযান, ১৪ কোটি টাকার চায়না জাল জব্দ সদরপুরে মা-ইলিশ রক্ষায় অভিযান: ৭ জেলেকে কারাদণ্ড, ৫ হাজার মিটার জাল জব্দ সদরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে টিভিসি ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন মুক্তির আগে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ইসরায়েল রাজধানীতে ধানের শীষে ভোট চাইলেন যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজ হল্যান্ড-মেসির গোল উৎসবের রাতে পেনাল্টি মিসে ম্লান রোনালদো ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে যা করতে হবে বাংলাদেশকে ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়েছে ৬ আরব দেশ আফগানিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষে ২৩ সেনা নিহত: পাকিস্তান

মাদক ব্যবসা , ডাকাতি ও ছিনতাইসহ নানান অপরাধের হোতা রাসেল

মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সহ নানান অপরাধের হোতা রাসেল। রাজধানী ও নারায়ণঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব অপরাধ অপকর্ম করে চলছেন। তবে তার নাম পরিচয় অনেকেরই অজানা। একেক জায়গায় একেক ধরনের নাম ব্যবহার করে থাকেন রাসেল।

আর ঠিকানাও সঠিক তথ্য ব্যবহার না করে বিভিন্ন এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করেন। তবে বিশেষ সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তার নাম রাসেল। চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের চিরাইও গ্রামের বকাউল বাড়ি।
জানা গেছে, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে এই রাসেলের অংশগ্রহনে বড় ধরনের চুরি, ডাকাতি ঘটে থাকে। রাতের আধাঁরে ফ্ল্যাট বাসায় ঢুকে ডাকাতি করে থাকে। সুযোগ পেলে বড় ধরনের চুরির ঘটনাও সম্পন্ন করে। বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ঢুকে মোটরসাইকেল ও অন্যান্য জিনিসপত্রও চুরি করে থাকে এই রাসেল। তার সঙ্গপঙ্গরাও এ কাজে বেশ পারদর্শি। তাদের বিশাল সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে ডাকাত সর্দার রাসেল। গেল কিছুদিন আগেও নারায়ণঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ এলাকায় ডাকাতি করার পর তার বিরুদ্ধে অজ্ঞাতনামা ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় যে, তিনি ডাকাত সর্দার রাসেল। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলায়। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই মামলা রয়েছে।
তার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একেবারে অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বাড়িতে আলিশান বিল্ডিং নির্মাণ করছেন। এমনকি তার চলাফেরার জন্য রয়েছে দামী গাড়ি। এছাড়া চুরি করা একাধিক মোটরসাইকেল দেখা গেছে তার বাড়িতে। চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে রাসেল এক কোটিপতি বনে গেছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন   এলাকার পুরো মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন  রাসেল।  এবং বিভিন্ন কৌশল খাটিয়ে মোবাইল ফোনে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। কেউ গ্রেফতার হলে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন রাসেল। সে কারণে এক যুগ ধরে রাসেল মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন তার কিছু সাঙ্গোপাঙ্গ । দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় বিজিবির অভিযান, ১৪ কোটি টাকার চায়না জাল জব্দ

মাদক ব্যবসা , ডাকাতি ও ছিনতাইসহ নানান অপরাধের হোতা রাসেল

আপডেট সময় : ০১:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সহ নানান অপরাধের হোতা রাসেল। রাজধানী ও নারায়ণঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব অপরাধ অপকর্ম করে চলছেন। তবে তার নাম পরিচয় অনেকেরই অজানা। একেক জায়গায় একেক ধরনের নাম ব্যবহার করে থাকেন রাসেল।

আর ঠিকানাও সঠিক তথ্য ব্যবহার না করে বিভিন্ন এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করেন। তবে বিশেষ সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তার নাম রাসেল। চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের চিরাইও গ্রামের বকাউল বাড়ি।
জানা গেছে, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে এই রাসেলের অংশগ্রহনে বড় ধরনের চুরি, ডাকাতি ঘটে থাকে। রাতের আধাঁরে ফ্ল্যাট বাসায় ঢুকে ডাকাতি করে থাকে। সুযোগ পেলে বড় ধরনের চুরির ঘটনাও সম্পন্ন করে। বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ঢুকে মোটরসাইকেল ও অন্যান্য জিনিসপত্রও চুরি করে থাকে এই রাসেল। তার সঙ্গপঙ্গরাও এ কাজে বেশ পারদর্শি। তাদের বিশাল সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে ডাকাত সর্দার রাসেল। গেল কিছুদিন আগেও নারায়ণঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ এলাকায় ডাকাতি করার পর তার বিরুদ্ধে অজ্ঞাতনামা ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় যে, তিনি ডাকাত সর্দার রাসেল। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলায়। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই মামলা রয়েছে।
তার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একেবারে অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বাড়িতে আলিশান বিল্ডিং নির্মাণ করছেন। এমনকি তার চলাফেরার জন্য রয়েছে দামী গাড়ি। এছাড়া চুরি করা একাধিক মোটরসাইকেল দেখা গেছে তার বাড়িতে। চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে রাসেল এক কোটিপতি বনে গেছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন   এলাকার পুরো মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন  রাসেল।  এবং বিভিন্ন কৌশল খাটিয়ে মোবাইল ফোনে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। কেউ গ্রেফতার হলে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন রাসেল। সে কারণে এক যুগ ধরে রাসেল মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন তার কিছু সাঙ্গোপাঙ্গ । দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।