ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জামায়াত ইস্যুতে হেফাজতের আমিরের ব্যক্তিগত বক্তব্য হাসিনাকে ফেরানোর যন্য রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে : দুদক চেয়ারম্যান কুষ্টিয়ায় বিজিবির অভিযান, ১৪ কোটি টাকার চায়না জাল জব্দ সদরপুরে মা-ইলিশ রক্ষায় অভিযান: ৭ জেলেকে কারাদণ্ড, ৫ হাজার মিটার জাল জব্দ সদরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে টিভিসি ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন মুক্তির আগে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ইসরায়েল রাজধানীতে ধানের শীষে ভোট চাইলেন যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজ হল্যান্ড-মেসির গোল উৎসবের রাতে পেনাল্টি মিসে ম্লান রোনালদো ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে যা করতে হবে বাংলাদেশকে

কক্সবাজার বাদশাঘোনা এলাকার চলছে মা ছেলের ইয়াবার রমরমা বানিজ্য

কক্সবাজার শহরের ৯নং ওয়ার্ড বাদশাঘোনা এলাকায় মা ও ছেলে মিলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করেই চলছেন।কেউ গাঁজা আবার কেউ বা ইয়াবা।

তাদের কারণে এলাকায় বেড়েছে মাদকসেবীদের আনাগোনা।
দিন দিন এলাকাবাসীদের মাঝেও বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা।মা ও ছেলের কারণে এখন এলাকাবাসির রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে মাদককে না বলতে ও মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করতে একত্রিত হয়েছে এলাকাবাসী।

কক্সবাজার সদর পৌরসভার বাদশাঘোনা এলাকায় স্থানীয়দের অভিযোগ,কসাই নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃসাকিল করেন ইয়াবা ব্যাবসা ও তার মা প্রকাশ(কইতুরি) ওরপে গাজাঁ সুন্দরী করেন গাঁজার ব্যাবসা এবং এরা মা ও ছেলে মিলে বাদশা ঘোনা এলাকায় মাদকের হাট বসায় প্রতিনিয়ত।

অনুসন্ধানে জানা যায় মোহাম্মদ সাকিল(২৮) কক্সবাজার শহরে দীর্ঘদিন যাবত পাইকারি ইয়াবা বিক্রি করে থাকেন। তথ্য নিয়ে দেখা যায় লাইট হাউস কটেজ জোনের বেশ কয়েকজন খুচরা ব্যাবসায়ীকে সাকিল ইয়াবা দিয়ে থাকেন।যাদের মধ্যে দেখা যায় কটেজ জোনের রুবি (প্রকাশ) ভাবি,সহ হোটেল সি পাল,১,২ সহ একাধিক খুচরা ব্যাবসায়ীকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে আসেন।

বিশেষ করে সন্ধ্যার পর পরই সাকিল,কয়েকজন পুলিশের তালিকা ভুক্ত ছিনতাইকারীদের সাথে নিয়ে ইয়াবা বিক্রির উদ্দেশ্যে চলে আসেন লাইট হাউস কটেজ জোনে।

অন্যদিকে,সরেজমিনে উঠে আসে মোঃসাকিলের মা প্রকাশ (কইতুরি) ওরপে গাঁজা সুন্দরী,তার নিজ বাসায় বসে করেন গাঁজা বিক্রি। যা এলাকায় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান।এবং

মা ও ছেলের মাদক ব্যাবসার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে পুরো এলাকা। এলাকাবাসী আরো জানায় কসাই নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সাকিল প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রি করেন, এবং লাইট হাউস কটেজ জোন নামে এক যায়গায় বেশ কয়েকজন ব্যাবসায়ীকে মাদক সাফলায় দিয়ে থাকে,এবং সাকিল, এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপরাধ করে থাকেন এবং তার কাছে রয়েছে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র।

সাকিলের মা কইতুরি তার নিজ বাসা বাদশা ঘোনা এলাকায় প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি করে বাদশাঘোনা সহ আশপাশের এলাকায়ও দিনে দিনে ইয়াবা ও গাঁজা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। যার কারণে বাড়ছে খুচরা মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীর সংখ্যা।

সম্প্রতি বাদশাঘোনা এলাকায় গেলে মাদক ব্যবসায়ী ওই মা ছেলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীরা আরও বলেন
সাকিল টেকনাফ ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসব মাদক নিয়ে এসে শহরে দ্বীগুন দামে বিক্রি করেন। তারা মা, ছেলের কারণে এলাকায় উঠতি বয়সের কিশোর যুবক রা মাদক আসক্ত হয়ে পরছেন।তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার মাদকসহ মোঃসাকিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছে। তবে জেল থেকে বের হয়ে আবারো থেমে নেই তার মাদক ব্যবসা।
মা -ছেলে এত সাহস পায় কিভাবে?এখানে পুলিশেরও গাফিলতি আছে উল্লেখ করে এসব বলেন স্থানীয়রা।

রাস্তাঘাটে মা বোন চলাফেরা করতে পারছে না। এলাকায় চুরি বেড়েছে। তরুণ ও যুব সমাজ মাদকাসক্ত হচ্ছে। স্কুলে যাওয়া আসার পথে ছাত্রীদের উত্যাক্ত করা হচ্ছে। তাদের মাদক ব্যবসা কোনোভাবেই প্রতিহত করা যাচ্ছে না। গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবারের কিশোর, তরুণ, যুবকরা ক্রমেই মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।

বর্তমান, মোঃসাকিল ও তার মা প্রকাশ কইতুরিকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনলে,আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার হুশিয়ারিও দেন এলাকার সচেতন মহল।

মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সাকিল ও তার মায়ের প্রতি হুশিয়ারি দিয়ে তরুণ সমাজ কর্মীরা বলেন, আগামীতে মাদক বিক্রি ও সেবনের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে অবস্থান নিয়ে এলাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পুলিশকে আরও তৎপর হয়ে দায়িত্ব পালন ও সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহবান জানানো হয়।

একাধিক বাসিন্দা জানান, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকেরাও এই সড়ক দিয়ে সচরাচর যাতায়াত পর্যন্ত করেন না। এই সুযোগে প্রতিদিন সকাল?সন্ধ্যা ৮ থেকে ১০ জন তরুণ দল বেঁধে প্রতিনিয়ত এখানে আড্ডা দেন।
এবং মাদক ক্রেতারা সাধারণত মোটরসাইকেলে করে মোঃ সাকিলের বাড়িতে আসেন। এলাকায় তার বাসার নাম মাদকসম্রাট মোঃসাকিলের মাদকের আস্তানা বলে পরিচিত।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, মাদক উদ্ধারে পুলিশের গাফিলতি নেই। পুলিশ সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। ওই মা-ছেলের দিকেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকবে বলে জানান এবং তিনি স্থানীয়দের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

তবে এ বিষয়ে মোঃ শাকিল ও তার মায়ের সাথে মুঠো ফোনে বার বার কথা বলার চেষ্টা করলে তারা মা ছেলে দুজন ই বিষয়টি এরিয়ে যান,এবং পরবর্তীতে আর ফোন রিসিভ করেন নি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াত ইস্যুতে হেফাজতের আমিরের ব্যক্তিগত বক্তব্য

কক্সবাজার বাদশাঘোনা এলাকার চলছে মা ছেলের ইয়াবার রমরমা বানিজ্য

আপডেট সময় : ০৯:০২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

কক্সবাজার শহরের ৯নং ওয়ার্ড বাদশাঘোনা এলাকায় মা ও ছেলে মিলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করেই চলছেন।কেউ গাঁজা আবার কেউ বা ইয়াবা।

তাদের কারণে এলাকায় বেড়েছে মাদকসেবীদের আনাগোনা।
দিন দিন এলাকাবাসীদের মাঝেও বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা।মা ও ছেলের কারণে এখন এলাকাবাসির রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে মাদককে না বলতে ও মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করতে একত্রিত হয়েছে এলাকাবাসী।

কক্সবাজার সদর পৌরসভার বাদশাঘোনা এলাকায় স্থানীয়দের অভিযোগ,কসাই নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃসাকিল করেন ইয়াবা ব্যাবসা ও তার মা প্রকাশ(কইতুরি) ওরপে গাজাঁ সুন্দরী করেন গাঁজার ব্যাবসা এবং এরা মা ও ছেলে মিলে বাদশা ঘোনা এলাকায় মাদকের হাট বসায় প্রতিনিয়ত।

অনুসন্ধানে জানা যায় মোহাম্মদ সাকিল(২৮) কক্সবাজার শহরে দীর্ঘদিন যাবত পাইকারি ইয়াবা বিক্রি করে থাকেন। তথ্য নিয়ে দেখা যায় লাইট হাউস কটেজ জোনের বেশ কয়েকজন খুচরা ব্যাবসায়ীকে সাকিল ইয়াবা দিয়ে থাকেন।যাদের মধ্যে দেখা যায় কটেজ জোনের রুবি (প্রকাশ) ভাবি,সহ হোটেল সি পাল,১,২ সহ একাধিক খুচরা ব্যাবসায়ীকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে আসেন।

বিশেষ করে সন্ধ্যার পর পরই সাকিল,কয়েকজন পুলিশের তালিকা ভুক্ত ছিনতাইকারীদের সাথে নিয়ে ইয়াবা বিক্রির উদ্দেশ্যে চলে আসেন লাইট হাউস কটেজ জোনে।

অন্যদিকে,সরেজমিনে উঠে আসে মোঃসাকিলের মা প্রকাশ (কইতুরি) ওরপে গাঁজা সুন্দরী,তার নিজ বাসায় বসে করেন গাঁজা বিক্রি। যা এলাকায় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান।এবং

মা ও ছেলের মাদক ব্যাবসার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে পুরো এলাকা। এলাকাবাসী আরো জানায় কসাই নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সাকিল প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রি করেন, এবং লাইট হাউস কটেজ জোন নামে এক যায়গায় বেশ কয়েকজন ব্যাবসায়ীকে মাদক সাফলায় দিয়ে থাকে,এবং সাকিল, এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপরাধ করে থাকেন এবং তার কাছে রয়েছে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র।

সাকিলের মা কইতুরি তার নিজ বাসা বাদশা ঘোনা এলাকায় প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি করে বাদশাঘোনা সহ আশপাশের এলাকায়ও দিনে দিনে ইয়াবা ও গাঁজা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। যার কারণে বাড়ছে খুচরা মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীর সংখ্যা।

সম্প্রতি বাদশাঘোনা এলাকায় গেলে মাদক ব্যবসায়ী ওই মা ছেলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীরা আরও বলেন
সাকিল টেকনাফ ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসব মাদক নিয়ে এসে শহরে দ্বীগুন দামে বিক্রি করেন। তারা মা, ছেলের কারণে এলাকায় উঠতি বয়সের কিশোর যুবক রা মাদক আসক্ত হয়ে পরছেন।তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার মাদকসহ মোঃসাকিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছে। তবে জেল থেকে বের হয়ে আবারো থেমে নেই তার মাদক ব্যবসা।
মা -ছেলে এত সাহস পায় কিভাবে?এখানে পুলিশেরও গাফিলতি আছে উল্লেখ করে এসব বলেন স্থানীয়রা।

রাস্তাঘাটে মা বোন চলাফেরা করতে পারছে না। এলাকায় চুরি বেড়েছে। তরুণ ও যুব সমাজ মাদকাসক্ত হচ্ছে। স্কুলে যাওয়া আসার পথে ছাত্রীদের উত্যাক্ত করা হচ্ছে। তাদের মাদক ব্যবসা কোনোভাবেই প্রতিহত করা যাচ্ছে না। গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবারের কিশোর, তরুণ, যুবকরা ক্রমেই মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।

বর্তমান, মোঃসাকিল ও তার মা প্রকাশ কইতুরিকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনলে,আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার হুশিয়ারিও দেন এলাকার সচেতন মহল।

মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সাকিল ও তার মায়ের প্রতি হুশিয়ারি দিয়ে তরুণ সমাজ কর্মীরা বলেন, আগামীতে মাদক বিক্রি ও সেবনের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে অবস্থান নিয়ে এলাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পুলিশকে আরও তৎপর হয়ে দায়িত্ব পালন ও সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহবান জানানো হয়।

একাধিক বাসিন্দা জানান, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকেরাও এই সড়ক দিয়ে সচরাচর যাতায়াত পর্যন্ত করেন না। এই সুযোগে প্রতিদিন সকাল?সন্ধ্যা ৮ থেকে ১০ জন তরুণ দল বেঁধে প্রতিনিয়ত এখানে আড্ডা দেন।
এবং মাদক ক্রেতারা সাধারণত মোটরসাইকেলে করে মোঃ সাকিলের বাড়িতে আসেন। এলাকায় তার বাসার নাম মাদকসম্রাট মোঃসাকিলের মাদকের আস্তানা বলে পরিচিত।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, মাদক উদ্ধারে পুলিশের গাফিলতি নেই। পুলিশ সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। ওই মা-ছেলের দিকেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকবে বলে জানান এবং তিনি স্থানীয়দের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

তবে এ বিষয়ে মোঃ শাকিল ও তার মায়ের সাথে মুঠো ফোনে বার বার কথা বলার চেষ্টা করলে তারা মা ছেলে দুজন ই বিষয়টি এরিয়ে যান,এবং পরবর্তীতে আর ফোন রিসিভ করেন নি।