ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও ঘুষ দিতে হতো: লালমনিরহাটে দুদক চেয়ারম্যান

লালমনিরহাটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘৫ আগস্টের পরবর্তী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তবর্তী সরকার এখন দুর্নীতিমুক্ত সরকার। আগে তো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও ঘুষ দিতে হতো। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।’
সোমবার (২১ এপ্রিল) লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ‘‘সবাই মিলে গড়বো দেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’’ -এই স্লোগানে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমরা যদি নিজেরা অভিযোগমুক্ত না হই, নিজে ঠিক না হই, তাহলে অন্যদের কিভাবে ঠিক করব?  ‘শতভাগ লোক বলে দুর্নীতি চাই না, তাহলে দুর্নীতি কীভাবে হয়? দুই একজন লোকের কারণে দুর্নীতি হয়। দশমিক শূন্য শূন্য শতাংশের কয়েকজন দুর্নীতি চান বা দুর্নীতি করেন। অনেক কর্মকর্তা সৎ, কিন্তু কাজ করেন না। এটিও কাম্য নয়।’
দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে কর্মকর্তাদের  আরো আন্তরিক হতে হবে। সেবা গ্রহীতাদের চাহিদার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিটি প্রকল্পের কাজে ঠিকাদার বান্ধব নয়, বাংলাদেশ বান্ধব হতে হবে। কয়েকটা গণশুনানিতে গিয়ে আমার একটা বড় অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেটা হচ্ছে আমাদের যে সমস্যাগুলো আছে  সেগুলো আসলে কোন দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা না। আমরা চাইলে সে সমস্যাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করতে পারি।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুড়িগ্রামের আয়োজনে ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গণশুনানিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবর আজিজী, দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন, দুদকের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক তালেবুর রহমান, পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার।
দুদকের এ গণশুনানিতে জেলার ৩৩টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১০৬টি অভিযোগের শুনানি হয়। এ সময় সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ও সেবা গ্রহীতার উপস্থিত ছিলেন।
ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও ঘুষ দিতে হতো: লালমনিরহাটে দুদক চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
লালমনিরহাটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘৫ আগস্টের পরবর্তী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তবর্তী সরকার এখন দুর্নীতিমুক্ত সরকার। আগে তো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও ঘুষ দিতে হতো। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।’
সোমবার (২১ এপ্রিল) লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ‘‘সবাই মিলে গড়বো দেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’’ -এই স্লোগানে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমরা যদি নিজেরা অভিযোগমুক্ত না হই, নিজে ঠিক না হই, তাহলে অন্যদের কিভাবে ঠিক করব?  ‘শতভাগ লোক বলে দুর্নীতি চাই না, তাহলে দুর্নীতি কীভাবে হয়? দুই একজন লোকের কারণে দুর্নীতি হয়। দশমিক শূন্য শূন্য শতাংশের কয়েকজন দুর্নীতি চান বা দুর্নীতি করেন। অনেক কর্মকর্তা সৎ, কিন্তু কাজ করেন না। এটিও কাম্য নয়।’
দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে কর্মকর্তাদের  আরো আন্তরিক হতে হবে। সেবা গ্রহীতাদের চাহিদার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিটি প্রকল্পের কাজে ঠিকাদার বান্ধব নয়, বাংলাদেশ বান্ধব হতে হবে। কয়েকটা গণশুনানিতে গিয়ে আমার একটা বড় অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেটা হচ্ছে আমাদের যে সমস্যাগুলো আছে  সেগুলো আসলে কোন দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা না। আমরা চাইলে সে সমস্যাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করতে পারি।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুড়িগ্রামের আয়োজনে ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গণশুনানিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবর আজিজী, দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন, দুদকের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক তালেবুর রহমান, পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার।
দুদকের এ গণশুনানিতে জেলার ৩৩টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১০৬টি অভিযোগের শুনানি হয়। এ সময় সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ও সেবা গ্রহীতার উপস্থিত ছিলেন।