ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাকা দিলেন ইউএনও, অবশেষে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হচ্ছেন সাব্বির

টাকা দিলেন ইউএনও, অবশেষে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হচ্ছেন সাব্বির

অবশেষে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হচ্ছেন অদম্য মেধাবী বরিশালের উজিরপুর উপজেলার দরিদ্র পরিবারের সন্তান রমজান খান সাব্বির। অর্থাভাবে তার ভর্তি যখন অনিশ্চিত সে সময়ে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত হোসেন তাকে ২১ হাজার টাকা সহায়তা করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাব্বিরের হাতে ভর্তির টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।

তিনি বলেন, মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়ে অর্থের অভাবে দুশ্চিন্তায় থাকা সাব্বিরকে ভর্তি বাবদ এ টাকা দেওয়া হয়েছে। ভর্তির পর যাতে তার কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করা হয়েছে। তিনিও সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি সবসময় সাব্বিরের পাশে আছি।

শিক্ষার্থী সাব্বির বলেন, টাকার অভাবে মেডিকেলে ভর্তির জন্য প্রাইভেট পড়তে পারিনি। পরীক্ষার কোনো বইও কিনতে পারেননি। বোনের উপহার পাওয়া ডিজিটাল শুমারির ট্যাব দিয়ে অনলাইন ও ইউটিউব থেকে দেখে ভর্তি প্রস্তুতি নিয়েছি। পরীক্ষায় ৬৭.৭৫ নম্বর পেয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি।

উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দমোদর কাঠি গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ খানের ছেলে রমজান খান সাব্বির। তার বাবা একজন কৃষি শ্রমিক। সাব্বির মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রমে ৪৭৪১ হয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান। কিন্তু অর্থাভাবে ছেলেকে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় পরিবারটি। তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে ইউএনও এ অর্থ সহায়তা করেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

টাকা দিলেন ইউএনও, অবশেষে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হচ্ছেন সাব্বির

আপডেট সময় : ০৩:১৬:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অবশেষে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হচ্ছেন অদম্য মেধাবী বরিশালের উজিরপুর উপজেলার দরিদ্র পরিবারের সন্তান রমজান খান সাব্বির। অর্থাভাবে তার ভর্তি যখন অনিশ্চিত সে সময়ে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত হোসেন তাকে ২১ হাজার টাকা সহায়তা করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাব্বিরের হাতে ভর্তির টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।

তিনি বলেন, মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়ে অর্থের অভাবে দুশ্চিন্তায় থাকা সাব্বিরকে ভর্তি বাবদ এ টাকা দেওয়া হয়েছে। ভর্তির পর যাতে তার কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করা হয়েছে। তিনিও সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি সবসময় সাব্বিরের পাশে আছি।

শিক্ষার্থী সাব্বির বলেন, টাকার অভাবে মেডিকেলে ভর্তির জন্য প্রাইভেট পড়তে পারিনি। পরীক্ষার কোনো বইও কিনতে পারেননি। বোনের উপহার পাওয়া ডিজিটাল শুমারির ট্যাব দিয়ে অনলাইন ও ইউটিউব থেকে দেখে ভর্তি প্রস্তুতি নিয়েছি। পরীক্ষায় ৬৭.৭৫ নম্বর পেয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি।

উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দমোদর কাঠি গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ খানের ছেলে রমজান খান সাব্বির। তার বাবা একজন কৃষি শ্রমিক। সাব্বির মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রমে ৪৭৪১ হয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান। কিন্তু অর্থাভাবে ছেলেকে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় পরিবারটি। তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে ইউএনও এ অর্থ সহায়তা করেন।