রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলার সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বেলা ২টার দিকে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক জুলফিকার উল্লাহ চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন কেন্দ্রীয় আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, রাজশাহী মহানগরের তৎকালীন আমির আতাউর রহমানসহ ১১৪ জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে ৯ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। ১০৫ জন জীবিত আছেন। রায় ঘোষণার সময় ২৫ আসামি উপস্থিত ছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু ইউসুফ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে প্রকৃত আসামিদের আড়াল করে নিরপরাধ ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছিল। তারা আজ খালাস পেয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আলী আশরাফ মাসুম বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত সকলকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। কমপক্ষে ৪০ জন ভুক্তভোগী, যারা তখন আহত হয়েছিলেন, তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। কিন্তু তাদের কেউই আসামিদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেননি।
ফারুক হোসেন রাবির গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে হল দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষ হয়। এতে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন নিহত হন। তার লাশ ম্যানহোলে পাওয়া যায়।