ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সদরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে টিভিসি ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন মুক্তির আগে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ইসরায়েল রাজধানীতে ধানের শীষে ভোট চাইলেন যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজ হল্যান্ড-মেসির গোল উৎসবের রাতে পেনাল্টি মিসে ম্লান রোনালদো ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে যা করতে হবে বাংলাদেশকে ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়েছে ৬ আরব দেশ আফগানিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষে ২৩ সেনা নিহত: পাকিস্তান ঝিনাইদহ সীমান্তে ১৪ জনকে আটক করেছে বিজিবি রাবি ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলার সব আসামি বেকসুর খালাস

গাইবান্ধায় অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে নারীর মৃত্যু

  • sharmin sanjida
  • আপডেট সময় : ০৬:০৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স রোগের উপসর্গ নিয়ে মোছা. আজেনা বেগম (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের পশ্চিম বেলকা গ্রামের (দকিদার মোড়) মো. আবুল হোসেনের স্ত্রী।

গতকাল শনিবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আজেনা বেগমের একটি ছাগলের বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সেটি জবাই করেন। এ সময় তাঁর হাতের আঙুলে হাড় লেগে ক্ষত হয়। পরে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসকের পরামর্শ নেন। এতে কাজ না হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই নারীকে নিয়ে যান তাঁর পরিবারের লোকজন। এরপর তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মৃত নারীর ভাতিজা ও পল্লিচিকিৎসক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম দিন যখন আমার কাছে উনি এসেছিলেন, তখন ওনার হাতের একটা আঙুলে কালো ফোসকা ছিল। চিকিৎসা দিয়েছিলাম। এরপর দুই দিন আগে আবারও এসেছিলেন। তখন দেখেছি, কালো ফোসকা আর নেই। তবে ওই জায়গাটা লাল হয়ে আছে। বলেছি, অ্যানথ্রাক্স রোগের জীবাণু থাকতে পারে আপনার শরীরে। দ্রুত হাসপাতালে যান। হিস্টরি শুনে প্রথম দিনেও এমনটাই বলেছিলাম।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিবাকর বসাক বলেন, ‘গতকাল শনিবার ওই রোগী খুব খারাপ অবস্থায় আমাদের এখানে এসেছিলেন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েই রংপুর মেডিকেলে রেফার করেছি।’ অ্যানথ্রাক্স রোগে মারা গেছে কি না—এ ধরনের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। তবে হিস্ট্রিতে এটা দেখা গেছে, তার শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ ছিল। এ ছাড়া ওই সময় দেখেছি, ওই রোগীর প্রেশার কমে গিয়েছিল এবং শ্বাস কষ্ট ছিল।’

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সদরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

গাইবান্ধায় অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে নারীর মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৬:০৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স রোগের উপসর্গ নিয়ে মোছা. আজেনা বেগম (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের পশ্চিম বেলকা গ্রামের (দকিদার মোড়) মো. আবুল হোসেনের স্ত্রী।

গতকাল শনিবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আজেনা বেগমের একটি ছাগলের বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সেটি জবাই করেন। এ সময় তাঁর হাতের আঙুলে হাড় লেগে ক্ষত হয়। পরে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসকের পরামর্শ নেন। এতে কাজ না হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই নারীকে নিয়ে যান তাঁর পরিবারের লোকজন। এরপর তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মৃত নারীর ভাতিজা ও পল্লিচিকিৎসক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম দিন যখন আমার কাছে উনি এসেছিলেন, তখন ওনার হাতের একটা আঙুলে কালো ফোসকা ছিল। চিকিৎসা দিয়েছিলাম। এরপর দুই দিন আগে আবারও এসেছিলেন। তখন দেখেছি, কালো ফোসকা আর নেই। তবে ওই জায়গাটা লাল হয়ে আছে। বলেছি, অ্যানথ্রাক্স রোগের জীবাণু থাকতে পারে আপনার শরীরে। দ্রুত হাসপাতালে যান। হিস্টরি শুনে প্রথম দিনেও এমনটাই বলেছিলাম।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিবাকর বসাক বলেন, ‘গতকাল শনিবার ওই রোগী খুব খারাপ অবস্থায় আমাদের এখানে এসেছিলেন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েই রংপুর মেডিকেলে রেফার করেছি।’ অ্যানথ্রাক্স রোগে মারা গেছে কি না—এ ধরনের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। তবে হিস্ট্রিতে এটা দেখা গেছে, তার শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ ছিল। এ ছাড়া ওই সময় দেখেছি, ওই রোগীর প্রেশার কমে গিয়েছিল এবং শ্বাস কষ্ট ছিল।’