কুষ্টিয়ার খোকসাতে আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ প্রতিরোধে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে মাঠে ‘আলোক ফাঁদ’ পেতেছেন। শুক্রবার (০৩’অক্টোবর) রাতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিন গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ বছর আমন ক্ষেতে মাজরা, পর্চাসহ বিভিন্ন পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে বর্তমানে পোকা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তারা দাবি করছেন। প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে এই পোকার আক্রমণ দেখা গেছে, যা মোট জমির শূন্য দশমিক সাত শতাংশ।
আলোক ফাঁদ ছাড়াও, বিভিন্ন মাঠে পরিবেশবান্ধব ‘পার্চিং’ পদ্ধতিতে গাছের ডাল, বাঁশের আগা ও কুঞ্চিসহ বিভিন্ন ডালপালা পুঁতে দেওয়া হয়েছে। এতে পাখিরা সেখানে বসে ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফেলছে, যা ফসলের জন্য উপকারী বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
জানিপুর ইউনিয়নের তাপস সরকার বলেন, ‘আড়াই বিঘা জমিতে ধানের চাষ করছি। অতিরিক্ত বৃষ্টি ও গরমের কারণে মাজরা পোকার আক্রমণ হয়েছিল, কিন্তু তিনবার স্প্রে করার পর এখন অনেকটা ভালো।’
শোমসপুর ইউনিয়নের কৃষক খোকন হোসেন জানান, কৃষি অফিসারের পরামর্শে জমিতে গাছের ডাল পোঁতার ফলে ক্ষতিকর পোকামাকড় কমেছে। শিমুলিয়া ইউনিয়নের কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে কৃষি কর্মকর্তারা আলোর ফাঁদ পাতার পর মাঠে তেমন ক্ষতিকর পোকা নেই।’
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৬ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক হেক্টর বেশি। প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ২০ মণ ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ২৮টি কৃষি ব্লকে অন্তত ৩০ টি আলোক ফাঁদ পেতে পোকা শনাক্ত করা হয়েছে। কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আপাতত কোনো শঙ্কা নেই।