ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৭৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই ২ হাজার ৫০৭ জন ডেঙ্গু রোগী।
এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৮৬৫ জন এবং মারা গেছেন ২০৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৭০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ৯৪, চট্টগ্রামে ১০২, ঢাকার বাইরের জেলায় ৬৭, বরিশালে ৬৩, ময়মনসিংহে ৩৭ ও রাজশাহীতে ১১ জন ভর্তি হয়েছেন।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন জানান, বৃষ্টি থেমে গেলেও আগামী দুই থেকে তিন মাস ডেঙ্গুর সংক্রমণ থাকতে পারে। কারণ, বৃষ্টি ও রোদ একসঙ্গে চললে এডিস মশার জন্ম হয় বেশি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়তে পারে। পূজার দীর্ঘ ছুটিতে মানুষ বাড়িতে না থাকায় বদ্ধ জলে এডিস মশার বিস্তার ঘটেছে। মানুষ ফিরলে সংক্রমণও বাড়বে। তিনি বলেন, এ বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংক্রমণ কমবে না; বরং জানুয়ারি পর্যন্ত এই প্রবণতা থাকতে পারে।
সরকারের প্রস্তুতি ও বাস্তবতা
ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১২টি নির্দেশনা দিয়েছে। এর মধ্যে মেডিকেল কলেজ, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে জরুরি প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অনেক হাসপাতাল নির্দেশনা অনুযায়ী আলাদা ইউনিট প্রস্তুত করেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ রোগ ঠেকাতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। শুধু ধোঁয়ানির্ভর মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যকর নয়। জনসচেতনতা ও স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।