হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় গতকাল ছিল মহাসপ্তমী। আজ মহা মহাষ্টমীতে অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। অষ্টমী পূজার মূল আকর্ষণই হলো কুমারী পূজা। এদিন ফুল, জল, বেলপাতা, ধূপ-দীপসহ ষোড়শ উপচারে কুমারীরূপে দেবী দুর্গারই আরাধনা করা হয়।
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় ৪৬টি পূজা মন্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গতকাল হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পূজা-মন্ডপগুলোতে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পূজা-অর্চনার মাধ্যমে মহাসপ্তমী উদযাপন করেছেন। দুর্গাভক্তরা দেবীর আরাধনায় পূজা-মন্ডপে দিনভর ভিড় জমিয়েছেন। সপ্তমীর সকালে পূজার শুরুতেই দেবী দুর্গার প্রতিবিম্ব আয়নায় ফেলে বিশেষ ধর্মীয় রীতিতে স্নান করানো হয়। এরপর করা হয় নবপত্রিকা স্থাপন। নবপত্রিকার আরেক নাম কলাবৌ স্নান। এছাড়া দেবীর চক্ষুদানের মাধ্যমে দেবী দুর্গার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পূজা শেষে হাতের মুঠোয় ফুল, বেলপাতা নিয়ে ভক্তরা মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে এবারের পূজার প্রথম অঞ্জলি দেন দেবীর পায়ে। করজোড়ে কাতর কণ্ঠে জগজ্জননীর কাছে শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেন ভক্তরা। ঢাকের বাদ্য, কাঁসর ঘণ্টা কিংবা শঙ্খধ্বনিতে দেবীর আরাধনার পাশাপাশি সবেতেই যেন ছিল একই আর্তি।
মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে গত রোববার শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। বিজয়া দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আগামী ২ অক্টোবর দুর্গোৎসব শেষ হবে।উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় ৪৬টি পূজা মন্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ বছরও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম ইবনে মিজান। পূজা মন্ডপগুলোতে আনসার, পুলিশ ও র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি পূজা-মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে।
এবছরের দুর্গাপূজা সম্পর্কে কথা হয় দয়াল ব্যানার্জির সাথে তিনি বলেন, এ বছর দেবী দুর্গার গজে (হাতি) আগমন এবং দোলায় (পালকি) গমন হবে। গজে দেবীর আগমনকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়, যা শান্তি, সমৃদ্ধি ও শস্য-শ্যামলা বসুন্ধরার প্রতীক। অন্যদিকে, দোলায় গমন মহামারি বা মড়কের ইঙ্গিত বহন করে, যা একটি অশুভ সংকেত।