খুলনার রূপসা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পিস্তল, রামদা ও চাকুসহ তিন আওয়ামী ক্যাডারকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট হতে ম্যাগজিনসহ ৭ ইঞ্চি লম্বা একটি বিদেশি পিস্তল, কাঠের বাটসহ লম্বা ২৪ ইঞ্চি একটি রামদা, একটি স্টিলের তৈরী চাকু উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঘাটভোগ ইউনিয়নের নিখিল দাস এর ছেলে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিপুন দাশ (৪১) , ডোবা গ্রামের নিখিল মহলীর ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নৃপেন মহলী (৪১) ও নতুন দিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন মহান্তর ছেলে জয়বাংলা ব্রিগেড সৈনিক লীগের থানা সেক্রেটারি অভিজিৎ মহান্ত (৩০) ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ২১ জুলাই সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রূপসা থানা পুলিশ সংবাদ পাই কয়েক ব্যক্তি উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের ডোবা গ্রামে নিরীহ জনগণকে অস্ত্র দেখিয়ে মারধর করেছে। সংবাদ পেয়ে রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য এলাকায় অভিযান চালায় ।
পুলিশ রাত ব্যাপী অভিযান চালিয়ে ২২জুলাই সকালে নিশ্চিত হয় যে দুষ্কৃতিকারীরা ডোবা গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার ভিতরে বিলের মধ্যে মৎস্য ঘেরের বাসায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিডিত্ততে অনুমান সকাল ৮টা ৫০মিনিটের সময় পুলিশ ও স্থানীয় জনতা দুষ্কৃতিকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রসহ তাদের ঘিরে ফেলে। পরে পুলিশ ও জনতার সহায়তায় কৌশলে তাদের আটক করা হয় এবং তাদেরকে নিরস্ত্র করি। এ সময় তাদের হাত থেকে রামদা, চাকু উদ্ধার করে আসামীদেরকে হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে একপর্যায়ে তারা তাদের হেফাজতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কথা স্বীকার করে।
গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের স্বীকারোক্তি এবং বর্ণনা মতে সম্ভাব্য স্থানগুলোতে খোঁজাখুঁজি করে একটি বিদেশী পিস্তল ম্যাগাজিন সহ উদ্ধার করা হয়। আসামীগন দীর্ঘ দিন যাবত অজ্ঞাতনামা বিভিন্ন স্থান হইতে অস্ত্র সংগ্রহ করিয়া নিজ হেফাজতে রাখিয়া ঘটনাস্থলসহ বিভিন্ন স্থানে অপরাধ মুলক কার্যক্রম করে আসছে।
রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি এবং পলাতক ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অস্ত্রধারী ক্যাডার। তারা বিভিন্ন সময়ে এলাকায় তাদের পূর্ববর্তী প্রভাব খাটিয়ে গোপনে চাঁদাবাজি করে আসছে, তাদের গ্রেফতারের পর তাদের চাঁদাবাজি ও অপরাধের বিভিন্ন তথ্য বেরিয়ে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।