ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালপুরে যুবদলের ৩১ দফায় লিফলেট বিতরণ শহীদ মিনারে শিক্ষক উপস্থিতি বেড়ে লংমার্চ শুরুর প্রস্তুতি জামায়াত ইস্যুতে হেফাজতের আমিরের ব্যক্তিগত বক্তব্য হাসিনাকে ফেরানোর যন্য রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে : দুদক চেয়ারম্যান কুষ্টিয়ায় বিজিবির অভিযান, ১৪ কোটি টাকার চায়না জাল জব্দ সদরপুরে মা-ইলিশ রক্ষায় অভিযান: ৭ জেলেকে কারাদণ্ড, ৫ হাজার মিটার জাল জব্দ সদরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে টিভিসি ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন মুক্তির আগে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ইসরায়েল রাজধানীতে ধানের শীষে ভোট চাইলেন যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজ

বদরের যুদ্ধকে কেন বিশ্বের ইতিহাস নির্ধারক যুদ্ধের একটি মনে করা হয়?

সৌদি আরবের মদিনা থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে বদর হুনাইন প্রান্তর অবস্থিত। প্রায় ১৪০০ বছর আগে এই প্রান্তরে এক যুদ্ধ হয়, যাকে বিবেচনা করা হয় বিশ্বের অন্যতম ‘ইতিহাস-নির্ণায়ক’ যুদ্ধ হিসেবে।

আশ্চর্যের বিষয়, সামরিক দিক থেকে এই যুদ্ধে অংশ নেয়া মানুষের সংখ্যা ছিল খুবই কম। কিন্তু এই যুদ্ধের গুরুত্ব এত বেশি ছিল যে, মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনেও এই দিনটিকে আল-ফুরকান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যার মানে, সিদ্ধান্ত বা রায়ের দিন।

মদিনার নবজাতক মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে এই যুদ্ধের গুরুত্ব বুঝতে হলে, আগে জানতে হবে কেন বদরের ময়দানটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এর নামকরণ হয়েছিল কীভাবে?

মদিনা থেকে প্রায় ৮০ মাইল দূরে পাহাড়ে ঘেরা এক প্রান্তর। ডিম্বাকৃতির সুবিশাল সেই প্রান্তরের প্রস্থ প্রায় সাড়ে চার মাইল।

আগে থেকেই একটি ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক মর্যাদা ছিল এর। ইয়েমেন থেকে সিরিয়া পর্যন্ত বাণিজ্য পথ গেছে এই পাহাড় ঘেরা জায়গাটির ওপর দিয়েই।

বণিকদের কাফেলা যাওয়ার সেই স্থানেই আবার মিলেছে মক্কা ও মদিনা থেকে আসা দুটি পথ।

এখান থেকে লোহিত সাগরও নিকটবর্তী। মোটে মাইল দশেকের দূরত্ব।

স্থানটির নামকরণ ‘বদর’ করার পেছনে কয়েকটি সম্ভাব্য কারণের কথা জানা যায়।

তারমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্যটি হলো, বদর বিন ইয়াখলাদ নামে এক ব্যক্তি এখানে একটি কূয়া খনন করেছিলেন।

কূয়ার পানি ছিল খুবই স্বচ্ছ।

কথিত আছে, সেখানকার পানিতে চাঁদের প্রতিফলন ঘটতো। যেহেতু চাঁদকে আরবিতে বদরও বলা হয়, তাই উভয় দিকের সূত্র মিলিয়ে এই স্থানের নাম বদর রাখা হয়েছিল।

মা’আরিফ ইসলাম নামক বই থেকে জানা যায়, প্রাক-ইসলামী ‘জাহিলিয়া’ যুগে প্রতি বছর পহেলা জ্বিলকদ থেকে আটই জ্বিলকদ পর্যন্ত এই স্থানে একটি বড় উৎসব অনুষ্ঠিত হতো।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে যুবদলের ৩১ দফায় লিফলেট বিতরণ

বদরের যুদ্ধকে কেন বিশ্বের ইতিহাস নির্ধারক যুদ্ধের একটি মনে করা হয়?

আপডেট সময় : ০৪:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সৌদি আরবের মদিনা থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে বদর হুনাইন প্রান্তর অবস্থিত। প্রায় ১৪০০ বছর আগে এই প্রান্তরে এক যুদ্ধ হয়, যাকে বিবেচনা করা হয় বিশ্বের অন্যতম ‘ইতিহাস-নির্ণায়ক’ যুদ্ধ হিসেবে।

আশ্চর্যের বিষয়, সামরিক দিক থেকে এই যুদ্ধে অংশ নেয়া মানুষের সংখ্যা ছিল খুবই কম। কিন্তু এই যুদ্ধের গুরুত্ব এত বেশি ছিল যে, মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনেও এই দিনটিকে আল-ফুরকান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যার মানে, সিদ্ধান্ত বা রায়ের দিন।

মদিনার নবজাতক মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে এই যুদ্ধের গুরুত্ব বুঝতে হলে, আগে জানতে হবে কেন বদরের ময়দানটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এর নামকরণ হয়েছিল কীভাবে?

মদিনা থেকে প্রায় ৮০ মাইল দূরে পাহাড়ে ঘেরা এক প্রান্তর। ডিম্বাকৃতির সুবিশাল সেই প্রান্তরের প্রস্থ প্রায় সাড়ে চার মাইল।

আগে থেকেই একটি ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক মর্যাদা ছিল এর। ইয়েমেন থেকে সিরিয়া পর্যন্ত বাণিজ্য পথ গেছে এই পাহাড় ঘেরা জায়গাটির ওপর দিয়েই।

বণিকদের কাফেলা যাওয়ার সেই স্থানেই আবার মিলেছে মক্কা ও মদিনা থেকে আসা দুটি পথ।

এখান থেকে লোহিত সাগরও নিকটবর্তী। মোটে মাইল দশেকের দূরত্ব।

স্থানটির নামকরণ ‘বদর’ করার পেছনে কয়েকটি সম্ভাব্য কারণের কথা জানা যায়।

তারমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্যটি হলো, বদর বিন ইয়াখলাদ নামে এক ব্যক্তি এখানে একটি কূয়া খনন করেছিলেন।

কূয়ার পানি ছিল খুবই স্বচ্ছ।

কথিত আছে, সেখানকার পানিতে চাঁদের প্রতিফলন ঘটতো। যেহেতু চাঁদকে আরবিতে বদরও বলা হয়, তাই উভয় দিকের সূত্র মিলিয়ে এই স্থানের নাম বদর রাখা হয়েছিল।

মা’আরিফ ইসলাম নামক বই থেকে জানা যায়, প্রাক-ইসলামী ‘জাহিলিয়া’ যুগে প্রতি বছর পহেলা জ্বিলকদ থেকে আটই জ্বিলকদ পর্যন্ত এই স্থানে একটি বড় উৎসব অনুষ্ঠিত হতো।