শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বাছাইয়ের চূড়ান্ত বৈঠকটি হয় আনুষ্ঠানিক ঘোষণার একেবারে কাছাকাছি সময়ে। এমনটাই বলা হয়েছে, দ্য নোবেল প্রাইজ এর ওয়েবসাইটে। দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্য দাবি করা ডোনাল্ড ট্রাম্পও ঠিক একই সময়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন।
শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা হবে আগামীকাল শুক্রবার। গতকাল বুধবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, এর আগে তিনি সাতটি যুদ্ধ ও সংঘাত বন্ধ করেছেন। যদিও নিউ ইয়র্ক টাইমসের ফ্যাক্ট-চেক বলছে, এসব দাবি পুরোপুরি সত্য নয়।
ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছে পাকিস্তান ও ইসরায়েল। এ কাতারে আছেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী, ইউক্রেনের রাজনীতিবিদ এবং যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন এমনকি নরওয়ের আইনপ্রণেতারা। তবে ট্রাম্প একা নন, তাঁর সঙ্গে মোট প্রার্থী ৩৩৮ জন।
এবার দেখা যাক, নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে বিজয়ীদের কীভাবে বাছাই করে, কারা মনোনয়ন দিতে পারেন এবং ট্রাম্পের নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা কেন কম। এই সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে আলফ্রেড নোবেলের উইলের (১৮৯৫) ভিত্তিতে। তবে বিতর্কিত ব্যক্তিরাও যে নোবেল পেয়েছেন সে উদাহরণও আছে এই লেখার পরের অংশে।
অশান্তির সময় শান্তিতে প্রার্থী বেশি
গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘাত, সহিংসতার সাক্ষী হয়েছে মানুষ। এখনো চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া ও হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ। গাজা সিটিতে গণহত্যা, দুর্ভিক্ষও চলমান। এর মধ্যেই এবার শান্তিতে নোবেল পাওয়ার জন্য ৩৩৮ জনের মনোনয়ন জমা হয়েছে। নোবেল প্রাইজের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এটি জমার শেষদিন ছিল গত ৩১ জানুয়ারি। যাদের মধ্যে ২৪৪ জন ব্যক্তি ও ৯৪টি প্রতিষ্ঠান। এ সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ২০২৪ সালে মোট প্রার্থী ছিলেন ২৮৬ জন। সর্বাধিক প্রার্থীর নাম জমা হয়েছিল ২০১৬ সালে- ৩৭৬ জন।
নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হয় নরওয়ের অসলো শহরে। পুরস্কারের জন্য কারা মনোনয়ন পান তা সুপারিশ জমার ৫০ বছরের আগে প্রকাশ করে না নোবেল কমিটি। তবে কোনো বছরের পুরস্কারের জন্য যে কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে মনোনয়নদাতাকে একটি মানদণ্ড পূরণ করতে হয়। মনোনীতদের মধ্য থেকে এক বা একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।
একটু আগেই বলেছি, নোবেল কমিটি মনোনীতদের নাম প্রকাশ করে না। কিছু ক্ষেত্রে প্রার্থীদের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় অনুমানের ভিত্তিতে বা সুপারিশকারী উল্লেখ করলে। যেমন, গত জুলাইয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি চিঠির কপি উপহার দেন। ওই কপি ছিল মূলত, নোবেল কমিটির কাছে পাঠানো নেতানিয়াহুর চিঠি। যেখানে শান্তিতে পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করা হয়েছে। এর আগের মাসে (জুন) পাকিস্তানও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা জানায়। উভয় দেশ দাবি করে, ট্রাম্প যুদ্ধ ও সংঘাত থামিয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছেন।
কারা মনোনয়ন জমা দিতে পারেন
নোবেল ফাউন্ডেশনের বিধি অনুযায়ী, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য কোনো মনোনয়ন তখনই বৈধ বলে গণ্য হবে, যদি তা নিচের যেকোনো শ্রেণির কোনো ব্যক্তির দ্বারা জমা দেওয়া হয়। ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে মনোনীত করা যায় না।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার যোগ্য ব্যক্তিরা হলেন:
১. সার্বভৌম রাষ্ট্রের জাতীয় সংসদ ও জাতীয় সরকারের সদস্যরা (মন্ত্রী বা ক্যাবিনেট সদস্যসহ) এবং বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধানরা।
২. নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এবং স্থায়ী সালিশি আদালতের সদস্যরা।
৩. এনস্তিত্যু দো দ্রয়া আঁতেরনাসিওনাল (আন্তর্জাতিক আইনের গবেষণা ও উন্নয়নের সংস্থা) এর সদস্যরা।
৪. উইমেন্স ইন্টারন্যাশনাল লিগ ফর পিস অ্যান্ড ফ্রিডম এর আন্তর্জাতিক বোর্ডের সদস্যরা
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, আইন, দর্শন, ধর্মতত্ত্বের এমেরিটাস অধ্যাপক, অধ্যাপক কিংবা সহযোগী অধ্যাপকরা। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পরিচালক, শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট কিংবা পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা।
৬. যারা আগে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
৭. নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগঠনের প্রধান পরিচালনা পর্ষদ বা সমমানের বোর্ড-এর সদস্যরা।
৮. নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির বর্তমান ও সাবেক সদস্যরা (বর্তমান সদস্যদের প্রস্তাব ১ ফেব্রুয়ারির পর কমিটির প্রথম বৈঠকের আগে জমা দিতে হয়)।
৯. নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির সাবেক উপদেষ্টারা।
কীভাবে চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাই হয়
নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই ও বিজয়ীদের নির্বাচনের দায়িত্ব নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির। এই কমিটিতে নরওয়ের পার্লামেন্ট দ্বারা নিযুক্ত পাঁচজন সদস্য থাকেন।
মনোনয়ন জমা শেষের পর ১ ফেব্রুয়ারি প্রথম বৈঠক করে নোবেল কমিটি। সেখানে কমিটির স্থায়ী সচিব প্রার্থীদের তালিকা তুলে ধরেন। এ সময় কমিটি চাইলে আরও কিছু নাম যুক্ত করতে পারে। এরপর মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং নির্দিষ্ট প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
এই প্রাথমিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে কমিটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে। সাধারণত এই তালিকায় ২০ থেকে ৩০ জন থাকেন। তাদের মূল্যায়ন করেন নোবেল ইনস্টিটিউটের স্থায়ী উপদেষ্টারা। ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও গবেষণা পরিচালকের পাশাপাশি এই উপদেষ্টামণ্ডলীতে থাকেন নরওয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ কয়েকজন অধ্যাপক। উপদেষ্টারা সাধারণত তাদের প্রতিবেদন তৈরির জন্য কয়েক মাস সময় পান। কখনও কখনও অন্য নরওয়েজিয়ান ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের কাছে থেকেও মতামত বা প্রতিবেদন আহ্বান করা হয়।
উপদেষ্টাদের প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর নোবেল কমিটি সবচেয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করে। সাধারণত অক্টোবরের শুরুতে পুরস্কার ঘোষণার ঠিক আগে হওয়া বৈঠকে চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাই করা হয়। নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিজয়ী নির্বাচনে কমিটি সর্বসম্মতি অর্জনের চেষ্টা করে। তবে কিছু ক্ষেত্রে তা সম্ভব না হলে, ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কেন আলোচনায়
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প নিজেকে শান্তির দূত বলে দাবি করে আসছেন। বিভিন্ন সময় তিনি গাজা যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। গত বুধবার যখন তিনি যুদ্ধবিরতিতে হামাস-ইসরায়েল সম্মত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, তখনও তেল আবিব গাজায় হামলা চালিয়েছে। অর্থ্যাৎ, ট্রাম্প নানা রকম ঘোষণা দিয়ে যতটা খবরের শিরোনাম হয়েছেন, যুদ্ধ বন্ধে এখনো ততটা বাস্তবসম্মত অগ্রগতি দেখা যায়নি।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সবশেষ অধিবেশন চলার সময়ও ট্রাম্প দাবি করেছেন তিনি সাতটি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন। তখন তাঁর এই দাবির ফ্যাক্ট-চেক করে নিউ ইয়র্ক টাইমস। এ নিয়ে বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন এখানে- ‘লন্ডনে শরিয়াহ আইন, ৭ যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে ট্রাম্পের দাবির ফ্যাক্ট-চেক’।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বক্তব্যে আজারবাইজান-আর্মেনিয়া, কঙ্গো-রুয়ান্ডা, ভারত-পাকিস্তান, ইরান-ইসরায়েল, থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া, মিশর-ইথিওপিয়া এবং কসোভো-সার্বিয়ার মধ্যকার যুদ্ধ বন্ধের দাবি করেন। কিন্তু ফ্যাক্ট-চেকে দেখা গেছে, গত আগস্টে ট্রাম্প আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার নেতাদের হোয়াইট হাউসে ডেকে যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করান। এটা কোনো শাক্তি চুক্তি ছিল না। এই দুই দেশের সংঘাতও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
গত জুনে কঙ্গো-রুয়ান্ডার নেতারা হোয়াইট হাউসে গিয়ে শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও এখনো প্রাণঘাতি সহিংসতা অব্যাহত আছে। ভারত-পাকিস্তান উভয়ই সংঘাত বন্ধে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার কথা স্বীকার করছে। তবে ভারত এটিও বলেছে যে, সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করেই সংঘাত বন্ধ করা হয়েছে।
ইরান-ইসরায়েলের ক্ষেত্রে সংঘাত সাময়িক বন্ধ হলেও এখনো উভয়পক্ষ একে অপরকে হুমকি দিচ্ছে। থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সংঘাত বন্ধের জন্য ট্রাম্প উভয় দেশের নেতাদের হুমকি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তাঁর কথা না শুনলে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবেন। এই প্রক্রিয়ায় সরাসরি সংঘাত বন্ধ হলেও সীমান্ত নিয়ে মূল সমস্যার সমাধান হয়নি।
কেন ট্রাম্পের সম্ভাবনা কম
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনার বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দুই রকমই অনুমান আছে। তবে ৬-৭টি যুদ্ধ বন্ধের কথা বলে ট্রাম্পের পক্ষে যেসব মতামত দেওয়া হচ্ছে তা আসলে ফ্যাক্ট-চেকের সামনে টিকছে না।
নরওয়ের অসলো শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক নিনা গ্রেগার। তিনি মনে করেন, ‘রাশিয়াকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ করতে বা ইসরায়েলকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে সফলভাবে চাপ দিতে পারলে, ট্রাম্প একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হয়ে উঠতে পারেন।’ যুক্তরাজ্যের স্কাই নিউজে নিনা গ্রেগারের এই মতামত প্রকাশ হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার।
নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য কে বা কারা বেশি উপযুক্ত? এর উত্তর পেতে নজর দেওয়া যাক পুরস্কারটির জনক আলফ্রেড নোবেলের উইলের (১৮৯৫) দিকে। এটির তথ্য আছে জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে। সেখানে লেখা- ‘এই পুরস্কার সেই ব্যক্তিকে দেওয়া উচিত যিনি জাতিগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য বৃদ্ধির জন্য সর্বাধিক বা সর্বোত্তম কাজ করেছেন।’
কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প কি প্রকৃতপক্ষে এমন কাজ করেছেন? তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং জলবায়ু সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করেছেন (হোয়াইট হাউস ও এনপিআর)। পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করে বিশ্বে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন। এর প্রভাবে আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতেও জটিলতা তৈরি হয়েছে।
তবুও ট্রাম্প প্রশাসন ও মিত্র দেশের নেতারা ট্রাম্পের পক্ষে সাফাই গাইছেন। এ নিয়ে বর্তমান নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির একজন সদস্য আসলে তোয়ে দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, তীব্র চাপ সৃষ্টিকারী প্রচারও ব্যর্থ হতে পারে। আমরা কমিটিতে এটি নিয়ে আলোচনা করি। প্রার্থীদের পক্ষে এমন প্রচার আমরা পছন্দ করি না। বরং এই চাপ ও লবিং উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে।
তবে শান্তিতে এ পর্যন্ত নোবেল বিজয়ীদের সবাই যে বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিলেন বিষয়টা এমনও নয়। ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ১৯৭৩ সালে পুরস্কার পান বিতর্কিত হেনরি কিসিঞ্জার। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী বিভাজনের প্রেক্ষাপটে নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল (১৯৯৩) পেয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এফ.ডব্লিউ. ডি ক্লার্ক। ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে নেন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নেতা ইয়াসির আরাফাত। পরের বছরই তিনি ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিমন পেরেসের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পান।
কয়েকটি যুদ্ধ বন্ধের পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুরস্কার দাবির আরেকটি হাতিয়ার বলা হচ্ছে ২০২০ সালের আব্রাহাম চুক্তিকে। যে চুক্তির মাধ্যমে আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছিল। এখন দেখার অপেক্ষা, নোবেল কমিটির কাছে এসব দাবি ধোপে টেকে কি না।