ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সদরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে টিভিসি ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন মুক্তির আগে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ইসরায়েল রাজধানীতে ধানের শীষে ভোট চাইলেন যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজ হল্যান্ড-মেসির গোল উৎসবের রাতে পেনাল্টি মিসে ম্লান রোনালদো ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে যা করতে হবে বাংলাদেশকে ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়েছে ৬ আরব দেশ আফগানিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষে ২৩ সেনা নিহত: পাকিস্তান ঝিনাইদহ সীমান্তে ১৪ জনকে আটক করেছে বিজিবি রাবি ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলার সব আসামি বেকসুর খালাস

সাতক্ষীরায় মেয়েকে তুলে নিতে বাধা দেওয়ায় মাকে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা

সাতক্ষীরায় এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা এবং তাতে বাঁধা দেওয়ায় মেয়ের মাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে বখাটেরা। সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দহাকুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মাছাঃ হালিমা বেগম দহাকুলা গ্রামের মীর মাহমুদুল্লাহর স্ত্রী। তিনি জানান, পার্শ্ববর্তী এলাকার মাঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে মাঃ শরীফ হাসন (২০) দীর্ঘদিন ধরে তার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিল। মেয়ে নবারুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। স্কুলে যাতায়াতের পথে ওই যুবক নানা সময় কটূক্তি ও বিরক্ত করত।
সোমবার বিকেলে মেয়ে প্রাইভেট পড়তে বের হলে শরীফ হাসন ও তার ভাই মাঃ আল আমিন হাসন তাকে জোর করে ইজিবাইকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে বাধা দিলে মেয়েটি রক্ষা পায়। খবর পেয়ে মা মাছাঃ হালিমা বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বখাটে শরীফ হাসন, তার ভাই আল আমিন, তাদের বাবা শহিদুল ইসলাম ও আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলাকারীরা লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হালিমা বেগমকে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ সময় তারা তার গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় আহত হালিমা বেগম সাতক্ষীরা সদর থানায় মেয়েকে উত্যক্ত ও হামলার ঘটনায় শহিদুল ইসলাম, শরীফ হাসন, আল আমিন হাসনসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শামিনুল হক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনায় মামলা হয়েছে (মামলা নং-১৬, তারিখ: ৭-১০-২০২৫)। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সদরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

সাতক্ষীরায় মেয়েকে তুলে নিতে বাধা দেওয়ায় মাকে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা

আপডেট সময় : ০১:৫২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

সাতক্ষীরায় এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা এবং তাতে বাঁধা দেওয়ায় মেয়ের মাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে বখাটেরা। সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দহাকুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মাছাঃ হালিমা বেগম দহাকুলা গ্রামের মীর মাহমুদুল্লাহর স্ত্রী। তিনি জানান, পার্শ্ববর্তী এলাকার মাঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে মাঃ শরীফ হাসন (২০) দীর্ঘদিন ধরে তার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিল। মেয়ে নবারুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। স্কুলে যাতায়াতের পথে ওই যুবক নানা সময় কটূক্তি ও বিরক্ত করত।
সোমবার বিকেলে মেয়ে প্রাইভেট পড়তে বের হলে শরীফ হাসন ও তার ভাই মাঃ আল আমিন হাসন তাকে জোর করে ইজিবাইকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে বাধা দিলে মেয়েটি রক্ষা পায়। খবর পেয়ে মা মাছাঃ হালিমা বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বখাটে শরীফ হাসন, তার ভাই আল আমিন, তাদের বাবা শহিদুল ইসলাম ও আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলাকারীরা লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হালিমা বেগমকে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ সময় তারা তার গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় আহত হালিমা বেগম সাতক্ষীরা সদর থানায় মেয়েকে উত্যক্ত ও হামলার ঘটনায় শহিদুল ইসলাম, শরীফ হাসন, আল আমিন হাসনসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শামিনুল হক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনায় মামলা হয়েছে (মামলা নং-১৬, তারিখ: ৭-১০-২০২৫)। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।