ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেকআপ না তুলেই ঘুম?

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

বাঙালী নারীরা অনেকেই সাজুগুজু করতে খুব পছন্দ করে থাকেন। কিন্তু দিনশেষে কাজ থেকে ফিরে ক্লান্তি বা শুধু ভুলে যাওয়া যাই হোক না কেন মেকআপ না তোলার অনীহায় ঘুমিয়ে পড়ার প্রবণতা আমাদের অনেকের মাঝেই রয়েছে। কেননা আপনি যখন ঘুমিয়ে পড়ার জন্য যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে পড়েন তখন মেকআপ তুলে ফেলার চিন্তাভাবনা একটি বিশাল কাজ বলে মনে হয়।

সাধারণভাবে ক্ষতিকারক বলে মনে না হলেও এটি ত্বকের স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করে থাকে। এটি কী ক্ষতি করে এবং এটি কতটা গুরুতর আসুন জেনে নেই:

  1. স্বল্পমেয়াদী ক্ষতির ফলাফল
    আপনি যদি মেকআপসহই ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখের মেকআপ থেকে আপনার চোখে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। চোখ লালবর্ণ হয়ে চুলকানি ও বেদনাদায়ক হতে পারে। অনেক সময় এটি চিকিৎসা করা অনেক কঠিন করে তোলে। আপনার যদি সংবেদনশীল ত্বক থাকে তাহলে মেকআপ ত্বকের ভেতরের ছিদ্র ময়লা ও তেলে ভরে দেয় যা ব্রণের সৃষ্টি করে ও মুখকে করে তোলে আরও শুষ্ক।
  2. দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির ফলাফল
    মেকআপের সাথে ঘুমালে প্রায়শই ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। ঘন ঘন মেকআপ না তুলে ঘুমালে ত্বকের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি অকাল বার্ধক্য হতে পারে। আপনি ঘুমানোর সাথে সাথে আপনার শরীর নতুন কোষ তৈরি করে যা পুরানো, মৃত কোষগুলিকে প্রতিস্থাপন করে। কোলাজেন নিঃসৃত হয়, যা ত্বককে দৃঢ় এবং তারুণ্যময় রাখতে সাহায্য করে।

পুরনো মেকআপ মৃত ত্বকের কোষগুলিকে আটকে রাখে এবং আপনার ত্বকে আলো পৌঁছাতে বাধা দেয়। এর ফলে ত্বকের লাবণ্যতা কমে গিয়ে আপনার ত্বক পুরনো ও শুষ্ক দেখাবে, বলিরেখা ও ব্রণ তৈরি করবে। তাই সবার উচিৎ মেকআপ তুলে ঘুমানোর।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

মেকআপ না তুলেই ঘুম?

আপডেট সময় : ০২:২৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাঙালী নারীরা অনেকেই সাজুগুজু করতে খুব পছন্দ করে থাকেন। কিন্তু দিনশেষে কাজ থেকে ফিরে ক্লান্তি বা শুধু ভুলে যাওয়া যাই হোক না কেন মেকআপ না তোলার অনীহায় ঘুমিয়ে পড়ার প্রবণতা আমাদের অনেকের মাঝেই রয়েছে। কেননা আপনি যখন ঘুমিয়ে পড়ার জন্য যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে পড়েন তখন মেকআপ তুলে ফেলার চিন্তাভাবনা একটি বিশাল কাজ বলে মনে হয়।

সাধারণভাবে ক্ষতিকারক বলে মনে না হলেও এটি ত্বকের স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করে থাকে। এটি কী ক্ষতি করে এবং এটি কতটা গুরুতর আসুন জেনে নেই:

  1. স্বল্পমেয়াদী ক্ষতির ফলাফল
    আপনি যদি মেকআপসহই ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখের মেকআপ থেকে আপনার চোখে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। চোখ লালবর্ণ হয়ে চুলকানি ও বেদনাদায়ক হতে পারে। অনেক সময় এটি চিকিৎসা করা অনেক কঠিন করে তোলে। আপনার যদি সংবেদনশীল ত্বক থাকে তাহলে মেকআপ ত্বকের ভেতরের ছিদ্র ময়লা ও তেলে ভরে দেয় যা ব্রণের সৃষ্টি করে ও মুখকে করে তোলে আরও শুষ্ক।
  2. দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির ফলাফল
    মেকআপের সাথে ঘুমালে প্রায়শই ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। ঘন ঘন মেকআপ না তুলে ঘুমালে ত্বকের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি অকাল বার্ধক্য হতে পারে। আপনি ঘুমানোর সাথে সাথে আপনার শরীর নতুন কোষ তৈরি করে যা পুরানো, মৃত কোষগুলিকে প্রতিস্থাপন করে। কোলাজেন নিঃসৃত হয়, যা ত্বককে দৃঢ় এবং তারুণ্যময় রাখতে সাহায্য করে।

পুরনো মেকআপ মৃত ত্বকের কোষগুলিকে আটকে রাখে এবং আপনার ত্বকে আলো পৌঁছাতে বাধা দেয়। এর ফলে ত্বকের লাবণ্যতা কমে গিয়ে আপনার ত্বক পুরনো ও শুষ্ক দেখাবে, বলিরেখা ও ব্রণ তৈরি করবে। তাই সবার উচিৎ মেকআপ তুলে ঘুমানোর।