নওগাঁ সদর উপজেলায় জমিজমাকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে কুপিয়ে ৩ জনকে জখম করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে আহত হয়েছে আরও একজন।
পরে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) সকালে নওগাঁ সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের আদমদুর্গাপুর গ্রামে।
আহতরা হলেন, তিলকপুর ইউনিয়নের আদমদুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত বায়েজ মন্ডল এর ছেলে আমান মন্ডল (৫৫), আমান মন্ডল এর ছেলে হাসিবুল ইসলাম (৩০), আমান মন্ডলের বড় ভাই আক্কাস আলীর গৃহবধু ফাতেমা (৫৬) এবং শিউলি (৩০)।
জানা যায়, আহতদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে আমান মন্ডল গত শুক্রবার সকালে চাষের উদ্দেশে আইল কাটতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রব (৫০) , সিরাজুল ইসলামের ছেলে মুকুল (৪৫), রিয়াজুল এর ছেলে হান্নান (৫২), অছির উদ্দিন মন্ডল এর ছেলে ফজলু (৫০) এর সাথে তর্ক বিতর্কে জরায়। এক পর্যায়ে লাঠি সোটা ও কোদাল দিয়ে আমান মন্ডলকে মারপিট শুরু করে। তাকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে কোদাল দিয়ে কোপ দিলে গুরুতর আহত হোন আমান মন্ডল। পরে তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে আমান মন্ডল এর ছেলে হাসিবুল ইসলাম তার নিজ বাড়ি থেকে কর্মের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে বাড়ির কিছুনা সামনে আব্দুর রব ও তার ছেলে রঞ্জিত, আব্দুল হান্নান ও তার ছেলে আরাফাত ও মুকুল এ্যালোপাথারিভাবে মারপিট শুরু করে। উক্ত মারপিট থেকে হাসিবুলকে তার চাচাতো বোন শিউলী ও চাচী ফাতেমা উদ্ধার করতে গেলে ফাতেমা ও শিউলীকে মুকুল ও তার বৌ নূরনাহার মারপিট করে।
এলোপাথারিভাবে মারপিট শুরু করে। পরবর্তীতে আহতদের নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
আহত হাসিবুল বলেন, আমার বাবাকে মারপিটের পর তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে আমি বাড়ি ফিরে নিজ কাজে বাড়ি থেকে বেড় হয়ে যেতেই আব্দুর রব, রাব্বী, আরাফাত, মুকুল ও তার গৃহবধূ এবং জাকির সহ কয়েকজন লাঠি, রামদা, হাসিয়া নিয়ে এসে আমাকে মারপিট শুরু করে, আমাকে বাঁচাতে আসলে তারা আমার চাচাতো বোন ও আমার চাচীকেও মারপিট করে। আমি এর বিচার চাই।
আহত ফাতেমা বলেন, আমার দেবর আমান মন্ডলকে রব ও মুকুলেরা জমিতে মেরে রক্তাত্ব করার পরে আবার আমাদের বাড়ির সামনে আমার ভাতিজা হাসিবুলকে তারা অনেক অস্ত্র নিয়ে মারতে শুরু করে। আমি এগোতে গেলে মুকুল ও তার বৌ নূরনাহার আমাকে মেরে হাত ভেঙ্গে ফেলেছে। সরকারের কাছে বিচার চাই।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত মুকুল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, তাদের সামান্য চোট একটু লেগেছে তবে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি, আপনারও আসেন দেখেন কি অবস্থা তা হলে বুঝতে পারবেন।
সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নূরে আলম বলেন এই বিষয়ে আমান কোন লিখিত অভিযোগ করেনি, লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।