ফরিদপুরের সদরপুর হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে আহত হয়েছেন থানা পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই)।
মঙ্গলবার ওই আসামিকে ধরতে বাইশরশি ভূমি অফিস এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের সামনে অভিযানের সময় তারা আহত হন। পরে আরেক এসআই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
আহত পুলিশের উপপরিদর্শকেরা হলেন- রাসেল মিয়া ও কাজী মিনারুল। গ্রেপ্তারকৃত আসামি হলেন আহসান হাবিব।
সদরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল মোতালেব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর সদরপুর থানা লুট হয়। ৬ আগস্ট লুট হওয়া অস্ত্র দিয়ে টিকটক করতে গিয়ে নানা বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন আটরশি গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে পলাশ। গুরুতর আহত অবস্থায় পলাশকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিন দিন চিকিৎসার পরে আইসিইউতে পলাশের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত পলাশের মা পারুলী আক্তার বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সদরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি আহসান হাবিব।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার আসামি আহসান হাবিবকে ধরতে বাইশরশি ভূমি অফিস এলাকার ফায়ার সার্ভিসের সামনে অভিযান চালায় সদরপুর থানা পুলিশের একটি দল। আসামি হাবিব গ্রেপ্তারের সময় এসআই কাজী মিনারুল ও এসআই রাসেল মিয়াকে জখম করে। পরে তাকে আটক করে পুলিশের আরেক এসআই আব্দুল হাদি।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব হোসেন বলেন, পলাশ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আহসান হাবিব। পুলিশ তাকে ধরতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। আইনি কার্যক্রম শেষে তাকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।