‘জিংক ধানের ভাত খেলে, পুষ্টি মেধা উভয় মেলে’, এই স্লোগানকে সামনে রেখে দিনব্যাপী জিংক সমৃদ্ধ ধানের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নীতি-নির্ধারকদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দিনাজপুরের পল্লীশ্রী মিলনায়তনে নাফ-বিডি ও আরডিআরএস বাংলাদেশ’র যৌথ আয়োজনে এবং হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, পৃথিবীর ২০০ কোটি মানুষ জিংকের অভাবে ভুগছে। তাই প্রতিটি মানুষের জিংকের অভাব পূরণে জিংক ধানের ভাত খেতে নিজেকে উৎসাহিত করতে হবে এবং অন্যকে সচেতন করতে হবে। জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেলে ছেলে-মেয়েরা খাটো হয় না, শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ ঘটে, ক্ষুধা মন্দা দূর হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, গর্ভবতী মায়েদের জিংকের অভাব হলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয় এবং বাচ্চার স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতি হয়। মহিলাদের দৈহিক ৮-১২ মিলিগ্রাম জিংকের প্রয়োজন। আমাদের জিংকের অভাবজনিত পুষ্টি পূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে জিংক সমৃদ্ধ ধান।
আরডিআরএস বাংলাদেশ’র আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. ওহিদুল আমিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আসিফ ফেরদৌস, হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের বিজনেস কনসালটেন্ট মো. সিয়াহ উদ্দিন। কর্মশালায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে তথ্যভিত্তিক উপস্থাপনা করেন মো. শাহিনুর কবির।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বীরগঞ্জ অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মো. রাকিবুল হাসান প্রামানিক, বিরল উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তফা হাসান ইমাম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সদর রাকিবুল ইসলাম, সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মহন আহমেদ, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট দিনাজপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ফরহাদ, জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মো. মঞ্জু আলম সরকার, আদর্শ কৃষক মো. আজহারুল ইসলাম রাজা, মিলার মো. জাহাঙ্গীর আলম, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রবিউল হাসান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।