নাসির-উদ-দৌলা জানান, পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ কিভাবে কার্যকর করা যায় এবং এ সংক্রান্ত অভিযান কিভাবে আরও জোরদার ও কার্যকর করা যায়- এ বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, এই পলিথিনের বন্ধ করার ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি জনগণ ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ ও এনটিএমসি) বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের সুপার শপগুলোতে যে পলিথিন শপিং ব্যাগগুলো ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর উৎপাদন বন্ধ করা হবে এবং বাজারে যেসব পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহৃত হয় সেগুলোর ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ কার্যকর করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ধরনের নিষিদ্ধ পলিথিন পণ্য বন্ধ করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, পলিথিনের বিকল্প আমরা দেখছি। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাছাড়া বেসরকারিভাবেও বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ উৎপাদন হচ্ছে। তিনি বলেন, আজকের সভায় পলিথিন ব্যাগের উৎপাদনকারী, রফতানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে সরকারের নির্দেশনা তারা প্রতিপালন করবেন এবং আমাদের পক্ষ থেকেও তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্যাকেজিং রোল ম্যানুফ্যাকচারার্স ওনার্স এন্ড ট্রেড এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, পলিথিন শপিং ব্যাগের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার আলোকে এর ব্যবহার বন্ধ করতে গত ০১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ হতে সারাদেশে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।