২০২৪ সালের রেকর্ড তাপমাত্রা পর নতুন বছর ২০২৫ সালেও গরম অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে, যা ভবিষ্যতে উষ্ণায়ন আরও বাড়িয়ে দেবে।
সম্প্রতি আবহাওয়ার পরিবর্তনের বিষয়ে সতর্কতা জারি করে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউওমও) এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর ডয়েছে ভেলের।
ডব্লিউওমও জানিয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্ব সবচেয়ে উষ্ণতম বছরের সাক্ষী হয়েছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালটিও ইতিহাসের তিনটি উষ্ণতম বছরের একটি হতে চলেছে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের মতো ২০২৫ সালেও প্রচণ্ড গরম পড়তে হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আমরা এক দশক ধরে মারাত্মক তাপ অনুভব করেছি। ২০২৪ সহ গত ১০ বছরে রেকর্ডের শীর্ষ উষ্ণতম বছরের সাক্ষী থেকেছি। ২০২৫ সালে পরবর্তীতে কী হবে তার কোনো গ্যারান্টি নেই। তবে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে সমস্ত মানুষের জন্য আরও শান্তিপূর্ণ, সমান, স্থিতিশীল এবং সুস্থ ভবিষ্যৎ তৈরি করার প্রয়াস চলতেই থাকবে।
তিনি বলেন, এই ধ্বংসের পথ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের হারানোর সময় নেই। ২০২৫ সালে, অনেক দেশের নির্গমন বন্ধ করতে হবে এবং তাদের নিরাপদ পথে যেতে হবে।
ডব্লিউএমও সেক্রেটারি-জেনারেল সেলেস্তে সাওলো বলেন, তাপমাত্রার সামান্য বৃদ্ধিও চরম আবহাওয়াকে আরও সাধারণ এবং বিপজ্জনক করে তুলেছে। সেক্রেটারি-জেনারেল হওয়ার প্রথম বছরেই আমি জলবায়ু সংক্রান্ত রেড অ্যালার্ট জারি করেছি। ২০২৫ সালে ডব্লিউএমওর ৭৫ তম বার্ষিকী। এমন পরিস্থিতিতে পৃথিবীতে সুরক্ষিত রাখতে নিজেকেই পদক্ষেপ করতে হবে, এটা সবার দায়িত্ব, এটা বিশ্বব্যাপী দায়িত্ব।
প্রসঙ্গত, ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন এবং ক্লাইমেট সেন্ট্রালের একটি নতুন রিপোর্টে ২০২৪ সালে জলবায়ু পরিবর্তনের ২৯টি চরম আবহাওয়ার ঘটনার মধ্যে ২৬টিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। এসব ঘটনায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ এবং ৩৭০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।