বগুড়ায় শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বেড়েছে গরু চুরি। প্রতিরাতেই জেলার বিভিন্ন উপজেলার কোনো না কোনো এলাকায় চুরি করছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। এদিকে গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি হওয়ার আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন এলাকার কৃষক ও খামারিরা। গত এক মাসে জেলায় প্রায় ৫০টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, বগুড়ায় প্রচন্ড শীত আর ঘন কুয়াশা বাড়ায় চোরের উৎপাত বেড়ে গেছে। প্রতিদিন রাতে কোন না কোন এলাকায় গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি হচ্ছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কৃষক ও খামারিরা। গরু চুরির ভয়ে তারা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে তারা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন।
এদিকে গত এক মাসে সবচেয়ে বেশি গরু চুরি হয়েছে ধুনট উপজেলায়। এপর্যন্ত এ উপজেলা থেকে ১০টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ রবিবার (৫ জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার সুলতানহাটা গ্রামের দুলাল আকন্দের গোয়াল ঘর থেকে বিদেশি জাতের চারটি গরু চুরি করে চোরেরা। দুলাল আকন্দ জমি চাষাবাদের পাশাপাশি বাড়িতে গবাদিপশু পালন করেন। ধুনট-সারিয়াকান্দি পাকাসড়কের পাশেই তার বাড়ি।
পাকাসড়কের পাশে অরক্ষিত গোয়াল ঘর, তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে গরু চুরির ঘটনা বেড়েছে বলে ধারণা পুলিশের। রাতে যেসব সড়কে আলো থাকে না কিংবা অনেকটা নির্জন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশি উন্নত বিশেষ করে সেসব এলাকায় চুরির ঘটনা বেশি ঘটছে। প্রতিবছরই এই সময় চুরির ঘটনা বেড়ে যায়।