রাজধানীর বাড্ডা থেকে অপহৃত ভুক্তভোগী মো. সোহেলকে উদ্ধার ডিএমপির বাড্ডা থানা পুলিশ।
সেইসঙ্গে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার অপহরণকারীর নাম সাইফুর রহমান ওরফে সুমন (৪০)। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর মধ্য বাড্ডার বাজার গলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বাড্ডা থানা সূত্রের বরাতে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, তুরাগ থানার রাজাবাড়ী এলাকায় ভুক্তভোগী সোহেল ও গ্রেফতার মো. সাইফুর রহমান ওরফে সুমন বসবাস করেন। একই এলাকায় বসবাসের সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। মাঝে মাঝে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো।
গত শুক্রবার রাত ৯টায় ভুক্তভোগী সোহেল মোটরসাইকেলে করে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নিজ বাসা থেকে বাড্ডা থানাধীন মধ্যবাড্ডা পোস্ট অফিস গলিতে পৌঁছালে সাইফুর রহমানসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩/৪ জন দুষ্কৃতকারী তার পথরোধ করেন। তারা ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল ফোনসহ তাকে অপহরণ করে নিয়ে যান।
পরে রাত সোয়া ৯টার দিকে সাইফুর রহমান ভুক্তভোগীর বন্ধু জহিরুল ইসলামকে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন এবং মুক্তিপণের টাকা বিকাশের মাধ্যমে না দিলে সোহেলকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই খোরশেদ আলম রানার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাড্ডা থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, মামলা দায়েরের পর বাড্ডা থানা পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেফতারে তৎপর হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম ও আসামির অবস্থান শনাক্তের পর শনিবার রাতে মধ্যবাড্ডার বাজার গলি এলাকার একটি রিকশা গ্যারেজের সামনে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে সাইফুর রহমান ওরফে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত সোহেলকে উদ্ধার করা হয়।
এসময় গ্রেফতার সাইফুরের হেফাজত হতে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে যে মোবাইল ফোন থেকে ফোন করে সাইফুর মুক্তিপণের টাকা দাবি করেছিল সেই মোবাইলফোনটিও তার হেফাজত হতে জব্দ করা হয়।
বাড্ডা থানার মামলায় গ্রেফতার সাইফুরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপহরণের সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।