আল্লাহ্তাআলা বলেন, ‘বরং মুমিন তো তারাই, যারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি বিশ্বাসে অবিচল এবং তা থেকে বিচ্যুৎ হয় না…।’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১৫)। আর হাদিসের ভাষায়, ‘সে-ই ঈমানের প্রকৃত স্বাদ পেয়েছে, যে আল্লাহকে রব (প্রতিপালক), ইসলামকে দ্বিন (ধর্ম) ও মুহাম্মদকে (সা.) রাসুল হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট।’ (মুসলিম)
ইসলামের সব কিছুর সঙ্গে ঈমানি চেতনার সুনিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাউকে ভালোবাসবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কারো সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করবে আবার আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান করবে অথবা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই দান করা থেকে বিরত থাকবে, সে-ই তার ঈমানকে পূর্ণতায় পৌঁছে দিল।’ (তিরমিজি)।
ঈমানদারের বর্ষবরণেও এটাই মানদণ্ড। ২০২৫-এর শুরুতেই বৈষম্যহীন সমাজের প্রত্যয়-প্রত্যাশা, নির্বাচন, নতুনত্বের উচ্ছ্বাস, রাজনৈতিক উত্তাপ, সংস্কার, অর্থনৈতিক টানাপড়েন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দীর্ঘশ্বাস সর্বত্র।
বর্ষপরিক্রমা মহান আল্লাহরই হুকুম : ‘তিনি সূর্যকে প্রচণ্ড দীপ্তি দিয়ে চাঁদ বানিয়ে দিলেন স্নিগ্ধতা ভরে, বছর গণনা ও হিসাবের তরে।’ (কাব্যানুবাদ, সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৫)। ১২ মাসে এক বছর প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে আছে, ‘নভোমণ্ডল-ভূমণ্ডল সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই আল্লাহ ১২টি মাস নির্ধারণ করেছেন…।’ (সুরা : তাওবা আয়াত : ৩৬)
নববর্ষ, হোক না তা হিজরি সনের প্রথম দিন, বঙ্গাব্দ বা ইংরেজি, বর্ষবরণে মনে রাখা জরুরি, আমরা মুসলমান এবং ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গে শৈথিল্যের অবকাশ ইসলামে রাখা হয়নি, এক দিনের জন্যও।