বরিশালের গৌরনদীতে গত ১০ দিন ধরে নিখোঁজ শিশু কন্যার লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে লাশ উদ্ধার করা হয় বলে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানিয়েছেন।
শিশু তাসলিমা আক্তার মাহি (১০) উপজেলার বাটাজোর দক্ষিণ পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর সবুজ সরদারের কন্যা। মাহি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া জানান, শিশু কন্যার মা নেই। বাবা দিনমজুরী করে। তাই সে একা একা গ্রামে ঘুরে বেড়ায়। গত ১৪ ডিসেম্বর বাড়ির পাশে একটি বিয়ে বাড়িতে যায়। দুপুরের পর থেকে নিখোঁজ হয় মাহি। কন্যা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ১৬ ডিসেম্বর তার বাবা থানায় জিডি করে। মঙ্গলবার সকালে গ্রামের হেলাল সরদারের স্ত্রী কাজল আক্তার তাদের বাড়ির পাশের পুকুরে লাশ দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে তারা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন।
ওসি বলেন, লাশটি পচন ধরেছে। তবে জিহবা ও একটি চোখ বের হয়ে গিয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন বলা যাবে। লাশের পচন ধরায় ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
শিশুর বাবা সবুজ সরদার সাংবাদিকদের জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বাড়ির পাশের কিশোর সরকারের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও নিখোঁজ মাহির সন্ধান না পেয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হবে।