গত সরকারের আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের যোগসাজসে মদের আড্ডা, ইয়াবা ও গাঁজা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ভাড়াটিয়া বালী বেগম। শুধু তাই নয় তার ৪ মেয়ে দিয়ে দেহ ব্যবসার মত নোংরা কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন বাড়িটিতে।
জানা গেছে, ভুইগড় এলাকার যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ, যাত্রাবাড়ি থানার ৬২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান, সবুজ মিয়া, (যুবলীগ নেতা) সন্ত্রাসী, দখলদার ও চাঁদাবাজীর রক্ষক, পিতা- অজ্ঞাত, ঠিকানাঃ ৬২ নং ওয়ার্ড, থানা- যাত্রাবাড়ী, ইমাম হোসেন (যাত্রাবাড়ি কাঁচা বাজারের চাদী রক্ষক) পিতা- অজ্ঞাত, ঠিকানাঃ ৬২ নং ওয়ার্ড, থানা- যাত্রাবাড়ী, মোঃ আমিন মোল্লা (৪৫) (যুবলীগ নেতা) পিতা- অজ্ঞাত, ঠিকানাঃ রঘুনাথপুর, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ, হৃদয় মিয়া, (২৫) (ছাত্রলীগ নেতা ও মাদক ব্যবসায়ী, বালীর মেয়ের জামাই) ঠিকানাঃ রঘুনাথপুর, ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ, মোঃ রফিকুল ইসলাম, পিতা-আব্দুর রব ব্যাপারী, ১৪ নং আউউফল স্টিফে কোয়াটার ৯ম তলা, থানা- যাত্রাবাড়ী, মোঃ মিনার, পিতা- তাইজুল হোসেন, ঠিকানাঃ ২ নং গেট, আদমজী, সিদ্দিরগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, পিন্ট, (ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী, গাজা ব্যবসায়ী, ইমরান, (আওয়ামীলীগ নেতা), পিতা- আব্দুর রহমান, ঠিকানাঃ ১৪ নং আউটফল স্টাফ কোয়াটার ৯ম তলা, থানা- যাত্রাবাড়ী, মোঃ আলমগীর ভূইয়া, (যুবলীগ নেতা) পিতা- আমিন উদ্দিন ভূইয়া, ঠিকানাঃ কদমতলী, আদমজী নগর, সিদ্দিরগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, রাজীব হোসেন রিহাদ, পিতা-আব্দুল কাদের, ২০নং আউটফল স্টাফ কোয়াটার ৯ম তলা, থানা- যাত্রাবাড়ী বিগত সরকারের এই অসাধু লোকদের দিয়ে মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করতেন ওই বালী বেগম। বর্তমানে এই লোকদের মধ্যে অনেকেই জেলে হাজতে থাকলেও বালী বেগমের রমরমা মাদকের ব্যবসা এখনো চলমান।
ভুইগড় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এই বাড়িটিতে কোন বাড়িওয়ালা না থাকায় ভাড়াটিয়া বালী বেগম ইচ্ছে মত অপকর্ম আর মাদকের ব্যবসা করে যাচ্ছে। তার কারণে এলাকা যুবসমাজ ও ছাত্ররা নস্ট হয়ে যাচ্ছে। বালী বেগম এখানে মাদক ব্যবসা ও অপকর্মের ব্যাপারে কেউ কিছু বললে মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলেও হুমকি দেয়। তাই স্থানীয়রা বালী বেগম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। দ্রুত তাদেরকে এই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে ভুইগড় এলাকাকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।