সেনা কর্মকর্তার মিথ্যা পরিচয়ে এক নারীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছিলেন সান্টু বিশ্বাস (৩৯)। এরপর বিয়ের নামে ভুয়া কাগজপত্রে সই নিয়ে তাঁরা স্বামী–স্ত্রী পরিচয়ে থাকতে শুরু করেন। সান্টু গোপনে ওই নারীর ভিডিও ও ছবি ধারণ করতেন। একপর্যায়ে ওই নারী সান্টুর প্রতারণা বুঝতে পেরে দূরে সরে যান। কয়েক মাস ধরে সান্টু ওই সব ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ দাবি করছিলেন। পরে ওই নারী এ নিয়ে মামলা করেন।
গতকাল মঙ্গলবার গাজীপুর চৌরাস্তা–সংলগ্ন অনুপম সুপার মার্কেট থেকে সান্টুকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাঁর কাছ থেকে তিনটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।
সিআইডি সূত্র জানায়, ঝিনাইদহের ওই নারীর সঙ্গে ২০২১ সালে সান্টু বিশ্বাসের পরিচয় হয়। সান্টু নিজেকে মেজর পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তার পরিচয় দেন। এরপর বিয়ের নামে মিথ্যা কাগজপত্রে সই নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একত্রে থাকছিলেন। তবে সান্টু গোপনে তাঁদের ব্যক্তিগত ভিডিও ও ছবি ধারণ করে রাখতেন। সান্টু ওই নারীর কাছে নিজেকে পরিবহন ও গার্মেন্টস মালিক হিসেবেও পরিচয় দেন। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেন। কিন্তু ওই নারী সান্টুর জালিয়াতি ধরতে পারলে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এরপর কিছুদিন কেটে যাওয়ার কথা বলে সান্টু ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা দাবি করেন; না হলে সেসব ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। চলতি বছরেরে ৮ মে সান্টু ওই নারীর মুঠোফোনে কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন।
আজ সন্ধ্যায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত ১১ জুন ভুক্তভোগী নারী ঢাকার লালবাগ থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। মামলাটির তদন্তভার সিআইডি গ্রহণ করার পর সান্টু বিশ্বাসকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করেছেন