মুসলিম শরিফে আরও বর্ণিত হয়েছে, হজরত আনাস (রা.) নিজেও যখন কোনো একটি দোয়া করার ইচ্ছা করতেন, তখন এ দোয়াটি করতেন। আর যখন বিভিন্ন দোয়া করার ইচ্ছা করতেন, তখন সেগুলোর মধ্যে এ দোয়াও থাকতো। (মুসলিম ২৬৮৮)
এ দোয়াটিকে নবীজির সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি গুরুত্ব দেয়া বা পছন্দ করার কারণ হলো, এ দোয়াটিতে একইসাথে দুনিয়ার কল্যাণ, আখেরাতের কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়েছে এবং জাহান্নাম থেকেও মুক্তি প্রার্থনা করা হয়েছে।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ‘জাওয়ামে’ অর্থাৎ দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ বা সব মুসলমানদের কল্যাণ প্রার্থনা অন্তর্ভুক্ত থাকে এমন দোয়া পছন্দ করতেন এবং এ রকম দোয়া ছাড়া অন্যান্য দোয়া পরিহার করতেন। (আবু দাউদ ১৪৮২)
এ দোয়া প্রসঙ্গে হজরত আনাস (রা.) থেকে আরেকটি হাদিস বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার খুব অসুস্থ এক ব্যক্তিকে দেখতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করেছিলে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি দোয়া করেছিলাম, আল্লাহ যেন আমাকে আখিরাতে শাস্তি না দিয়ে আমার অপরাধের শাস্তি এই দুনিয়াতেই দিয়ে দেন!