গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অবৈধভাবে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করা কাঁচাবাজারসহ দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পৌর কিচেন মার্কেটের নির্ধারিত স্থানে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেল ৫ ঘটিকা থেকে রাত ১০ ঘটিকা পর্যন্ত উপজেলার ঘাঘর বাজার ও পশ্চিমপাড় এলাকায় উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, পৌরসভা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পৌর প্রশাসক শাহীনুর আক্তার।
অভিযানে উচ্ছেদ করা দোকানের মধ্যে রয়েছে কাঁচামালের দোকান, হকারদের বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান, ফলের দোকান, বিভিন্ন খাবারের অবৈধ টং দোকান।
উচ্ছেদ অভিযানকালে পথচারী, ক্রেতাসাধারণ এই কাজের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। আল-আমিন খান নামের এক সিঙ্গাপুর প্রবাসী বলেন, ঘাঘর বাজার একটি অতি প্রাচীন ও প্রতিষ্ঠিত বাজার। দিনদিন এই বাজারের ফুটপাত, ড্রেন ও সড়কের জায়গা দখল করে দোকান দেওয়ায় ক্রেতাদের ভোগান্তি পোহাতে হতো। এসব স্থাপনা উচ্ছেদ হওয়ায় আমরা ক্রেতা সাধারণ খুব খুশি হয়েছি। এখানে এখন নিরাপদে ও নির্বিঘেœ কেনাকাটা করতে পারবো।
কোটালীপাড়া পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুস বিশ^াস বলেন, ঘাঘর বাজার ও পশ্চিমপাড় এলাকায় অবৈধভাবে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে কাঁচাবাজারসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। বারবার এসব স্থাপনা সরানোর জন্য নির্দেশনা দিলেও তা মানেনি অবৈধ দখলদাররা। এ কারনে গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসকের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে সেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক শাহীনুর আক্তার বলেন, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান স্যারের নির্দেশনায় ঘাঘর বাজার ও উপজেলা সদর যানজটমুক্ত ও পথচারীদের দুর্ভোগ রোধে ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়।
এরই অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়। তবে আমরা শুধু উচ্ছেদই করি নি বরং এসকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য পৌর কিচেন মার্কেটের নির্ধারিত স্থানে তারদেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যাতে তারা নিরাপদে ও নির্বিঘেœ ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারেন।
তিনি আরো জানান, বিভিন্ন সময় ঘাঘর বাজারে অগ্নিকান্ডের সময় ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের যানবাহন ঘটনাস্থলে পৌছাতে দুর্ভোগে পরে। পৌরসভার সকল বাজার ও সড়ক যানজটমুক্ত করা এবং পরিচ্ছন্ন এক নান্দনিক শহর গড়তে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।