সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস বাবুর্চি ফিরোজ ওরফে ফিরোজ ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টায় কক্সবাজারের কক্স টুডে নামক আবাসিক হোটেলের ৫১২ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রূপগঞ্জের তারাব পৌর বিএনপি ও যুবদলের নেতারা কক্সবাজার বেড়াতে গেলে ফিরোজ ভুঁইয়ার দেখা পান। পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলে তাকে কক্সবাজার পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ সময় ফিরোজ ভুঁইয়ার সাথে থাকা মোর্শেদা আক্তার (১৭) নামে এক তরুরীকেও আটক করা হয়।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি হিমেল হাসান জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে কক্সবাজার বেড়াতে আসা বিএনপির নেতারা হত্যা মামলার পলাতক আসামি বাবুর্চি ফিরোজকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ সময় কক্স টুডে নামক আবাসিক হোটেলের ফিরোজের কক্ষ থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকার মোর্শেদা আক্তার নামে এক তরুনীকে আটক করা হয়।
রূপগঞ্জ থানা ওসি লিয়াকত আলী জানান, গ্রেপ্তারকৃত ফিরোজ ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের নব কিশোলয় উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র রোমান মিয়া (১৭) হত্যা ও তারাবো পৌরসভা যুবদলের সভাপতি আফজাল কবিরের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাটসহ রূপগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বেশ কিছু মামলা রয়েছে। ফিরোজ ভুঁইয়া রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার রূপসী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ছিলেন।
এর আগে গত ৫ আগস্ট চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রোমান মিয়া নিহত হয়। এ মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, কায়েতপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জায়েদ আলী, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমন হাসান খোকন, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আন্ডা রফিক ও তার ভাই রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান একই মামলার আসামি। তাদের মধ্যে গোলাম দস্তগীর গাজী ও জায়েদ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।