নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান-সিয়াদার ইউনিয়নের খুরশিমুল গ্রামের মানারকান্দি এলাকার কিছু জমি সন্ত্রাসী কর্তৃক হিন্দু সম্প্রদায়ের এক পরিবারের বাড়ী দখলের চেষ্টায় ভাংচুর ও লুঠপাটের অভিযোগ উঠেছে।
এনিয়ে শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলের দিকে নেত্রকোণা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালের দিকে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রাজন রবিদাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, বাপদাদার চৌদ্দপুরুষের ভিটে বাড়ী জোরপূর্বক দখল করে নিয়ে যেতে চায় কুকিলা বেগম ও তার সন্তানেরা। আমাদের অপরাধ আমরা হিন্দু সম্প্রদায়। আর এজন্যই আমাদের পরিবারকে তাড়িয়ে ভিটেবাড়ী দখল করতে চায় তারা। সে আরও জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ কুকিলা বেগম ও তার সন্তানেরা আমার পরিবারের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। এনিয়ে এই সম্পত্তির উপর আদালত থেকে ১৪৫ ধারা জারী করার পরও আমার পরিবারের ওপর হামলা ভাঙচুর লুঠপাট করে সবকিছু নিয়ে গেছেন। প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচারের দাবি জানাই।
পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান-সিয়াদার ইউনিয়নের খুরশিমুল গ্রামের মানারকান্দি এলাকার মৃত গণেশ রবিদাসের ছেলে চৌকিদার বাবুল রবিদাস, স্বপন রবিদাস, রাজন রবিদাসের বাড়ীতে একই গ্রামের মৃত আক্কাছ মিয়ার স্ত্রী কুকিলা বেগম ও তার সন্তানেরা এনামুল মিয়া, আলীমুল মিয়া, আশিক মিয়া সহ একদল মুখোশপরা দূর্বৃত্তরা গত শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে হামলা ভাঙচুর ও লুঠপাট করে। এসময় বাড়ীর মহিলাদের ওপর হামলা চালিয়ে ঘরে থাকা দুই ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন সহ আসবাবপত্র নিয়ে যায়। ঘটনার সময় হামলার শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনের ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে ভুক্তভুগীদের উদ্ধার করে।
অভিযুক্ত পরিবারের সদস্য এনামুল মিয়া জানায়, অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা। আমরা হামলা, ভাঙচুর, লুঠপাট করিনি।
এব্যাপারে নেত্রকোণা জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ লুৎফুর রহমান জানান, মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে বলে দিয়েছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।