ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় উভয় পক্ষের ৩০ জন গ্ৰামবাসি আহত হয়েছে। আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের সরৈবাড়ী গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থল গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এলাকার পরিস্থিতি থমথমে ভাব বিরাজ করেছে। গ্ৰামের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরা হলেন হাসমত হাওলাদার (৬৫), আবুল হোসেন মাতুব্বর(৬০), লতিফ হাওলাদার (৬০) ও রাজু চৌধুরী (২৯)। এছাড়াও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন জুবায়ের হাওলাদার (৩২), পান্নু মাতুব্বর (৫০), ওবায়দুর রহমান (৪০), রসমত হাওলাদার (৪৪), আবু জাফর হাওলাদার, রুবেল চৌধুরী (৩৫), মিন্টু খান (৪৪), নাসির চৌধুরী (৪৪), শরীফ খান (২৭), রফিক চৌধুরী (২৭), রুবেল হাওলাদার (৩৫), ইয়াসিন (২৩)।
গ্রামবাসী জানায়, সরইবাড়ী গ্রামের ফিরোজ খাঁন ও বতু হাওলাদার গ্রুপের সাথে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হাবিব তালুকদার গ্রুপের সাথে দীর্ঘদিন ধরে নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার সকালে হাবিব তালুকদার গ্রুপের হাসমত ও আবু জাফর তালুকদারের পুকুরে থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায় খাঁন গ্রুপের বতু ও ছিরু হাওলাদারের লোকজন। এই মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে রবিবার হাতাহাতি ও মারামারি হয় ।
মারামারির ঘটনার সূত্র ধরে সোমবার সকালে হাসমত কারীকে একা পেয়ে মারধর করে। এ ঘটনা গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের ৩০ জন লোক আহত হয়।
এব্যাপারে ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোকছেদুর রহমান জানান, আজ সরৈবাড়ী গ্রামে পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশের ২টি টিম ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ দেন নাই, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।