সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্ট্রাগ্রামে মল্লিকার (২২) সঙ্গে তিন বছর আগে পরিচয় হয় তুরস্কের নাগরিক মুস্তফা ফাইকের (৩০)।
এ পরিচয় থেকে প্রেমে রূপ নেয় সে সম্পর্ক। এরপর সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার পারি দিয়ে তুরস্ক থেকে ছুটে এসে সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে মুসলিম রীতিতে বিয়ে করেন সে যুবক। মল্লিকার মা ও স্বজনেরা এমন বিয়ে মেনে নিয়ে তারাও আনন্দ প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে এলাকাবাসী এ খবর পেয়ে ভিড় জমাচ্ছে মল্লিকার বাড়িতে। বিদেশি জামাই পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠেছেন সবাই।
মল্লিকা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারী গ্রামের কামরুজ্জামান মানিকের মেয়ে। তিনি অর্নাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারী গ্রামে আসেন তুরস্কের যুবক মুস্তফা ফাইক। এরপর সোমবার রাতে মুসলিম রীতিতে মল্লিকাকে বিয়ে করেন তিনি।
দুই পরিবারের সম্মতিতে এ বিয়ে হয়েছে জানিয়ে মল্লিকা বলেন, আমাকে ভালবেসে মুস্তফা তুরস্ক থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। আমি বলেছিলাম বাংলাদেশে এলে তাকে বিয়ে করবো। ধুমধাম আয়োজনে সেই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। সুখ-দুঃখে আমরা সব সময় একসঙ্গে থাকবো। এ সময় মল্লিকা তার স্বামীর সঙ্গে তুরস্কে চলে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে বলেন ভিসা প্রসেসিং হলেই চলে যাবো।
নিজেকে প্রকৌশলী দাবি করে তুরস্কের নাগরিক মুস্তফা ফাইক বলেন, ‘আমি মল্লিকাকে বিয়ে করতে পেরে খুশি। আমি আমার ভালবাসার মানুষের জন্য এদেশে এসেছি। আমরা সারাজীবন একসঙ্গে থাকব।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘তুরস্ক থেকে ছেলেটা তার মামাকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামে চলে এসেছে। পরিবারের সম্মতিতে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়েও করেছে। মেয়েটি শিক্ষিত, আগে থেকেই নিয়মিত কথা বলতো। আমি দোয়া করি তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক।’