নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ডহরগাঁও এলাকায় একটি বাসা বাড়িতে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) গভীর রাতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। আশপাশের লোকজন রাতেই দগ্ধদেরকে ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করিয়েছেন।
উপজেলার ডহরগাঁও এলাকার মোঘল মিয়া জানান, রাত ১০টার দিকে স্থাণীয় ফকির ফ্যাশন নামক পোশাক কারখানা থেকে কাজ শেষে বাসায় ফিরে সেলিনা বেগম (৩৭), মো. বাবুল মিয়া (৪৭), মুন্নি আক্তার (২২), সোহেল মিয়া (২৫), তাসলিমা আক্তার (১২) ও ইসমাইল মিয়া (১৮)। তারা সবাই একই রুমে থাকতেন। ঘরের মধ্যে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন সবাই। তিতাসের লাইন গ্যাস লিকেজ হয়ে ওই ঘরে আগেই গ্যাস জমে ছিল বলে এলাকাবাসী ধারণা করছেন। পরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে ৬ জনই দগ্ধ হন।
ডহরগাঁও এলাকার বাদল ভুঁইয়া জানান, শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে পাশের ঘরে হঠাৎ চিৎকার শুনে এগিয়ে যাই। তখন ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকাবস্থায় দগ্ধদের উদ্ধার করি। পরে দগ্ধদের এম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় প্রেরণ করি।
বার্ণ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক মেহেদী হাসান জানান, আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। ৬জনকেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউিটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়ে নারী ও শিশুসহ ৬ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগে শুক্রবার রাত সোয়া ১২টার দিকে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২ বছরে ডহরগাঁও গ্রামে গ্যাসের লিকেজে বিস্ফোরণ ঘটে ৩টি ঘটনায় অন্তত ২৩জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে।