ঘূর্ণিঝড় দানা মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে এ উপকূলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে অবস্থানরত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহণের কাজ।
ঘূর্ণিঝড়কে ঘিরে বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব অ্যালার্ট ওয়ান জারি করেছেন। অ্যালার্ট বাড়লেই বন্দরে সব কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন হারবার মাস্টার কমান্ডার সাইফুর রহমান ভুইয়া। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে সর্তক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মনিটরিং করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির হচ্ছে সুন্দরবনের দুবলার চরেও। সেখানে স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে সুন্দরবনের চরগুলোতে। এছাড়া জোয়ারে পানিও বাড়ছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকালে প্রস্তুতি সভা করেছেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা বলেন, এখানে ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১ হাজার ৩২০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মজুদ রাখা হয়েছে শুকনা খাবার, ওষুধ ও বিশুদ্ধ পানি।