নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নতুন শহর প্রকল্পে (পূর্বাচল উপশহর) বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে অন্যায়ভাবে নেওয়া প্লট বাতিল করে ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসীদের মাঝে প্লট বরাদ্দের দাবিতে ৩০০ ফিট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নতুন শহর প্রকল্পের ৪নং ব্রিজ এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী। বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন- ছাত্রদলের কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন। তবে একই দাবিতে রূপগঞ্জের ৩টি গ্রুপে বিভক্তি হয়ে এ আন্দোলন করছেন। অপর দুটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন ও পূর্বাচলের বাসিন্দা এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন বাচ্চু।
বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন- ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসী সোলায়মান, কাসেম মিয়া, আব্দুল মান্নান, রতন মিয়া, মোতালিব মিয়া, গোফরান মিয়া, এডভোকেট জাকারিয়া, রোকেয়া আক্তার, রফিকুল ইসলাম ও রতন মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, উপজেলার ভোলানাথপুর, ইউসুফগঞ্জ, আলমপুরা, পরশী, হারারবাড়ী, পিংলান, ডেলনা, থামছি, কুমারটেক, গোবিন্দপুর, চাপড়ি, হিরনাল, রঘুরামপুর ও পলখানসহ বেশ কয়েকটি এলাকা নিয়ে নতুন শহর প্রকল্প (পূর্বাচল উপশহর) গড়ে উঠেছে। প্রায় দুই হাজার আদিবাসী আবেদন করে বছরের পর বছর ঘুরেও প্লট পায়নি।
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে অন্যায় ভাবে প্লট নিয়েছেন অনেকে। এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবার ও একই কায়দায় প্রভাব খাঁটিয়ে প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। আর যারা প্রভাব খাঁটিয়ে প্লট বাগিয়ে নিয়েছেন ঐসব প্লট বাতিল করে ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসীদের মাঝে বন্টন করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আর তা নাহলে আমরা বৃহৎ কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে।
বিক্ষুব্ধ ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসীর ১১ দফা দাবিগুলো হলো: এ’ ধারায় আওয়ামী পরিবারের বরাদ্দকৃত সকল প্লট বাতিল করতে হবে। যারা আবেদন করতে পারেনি তাদের আবেদন করার সময় দিতে হবে। আদিবাসী ক্ষতিগ্রস্তদের প্লট বরাদ্দ দিতে হবে। বৈষম্যহীনভাবে আদিবাসীদের ৩ কাঠা, ৫ কাঠা, সাড়ে ৭ কাঠা, ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ দিতে হবে। যৌথ প্লট বরাদ্দ বাতিল করে একক নামে প্লট বরাদ্দ দিতে হবে। ক খ গ এওয়ার্ড যাদের, তাদের প্লট দিতে হবে। রাস্তার উন্নয়ন নামে দুর্নীতি তদন্ত করতে হবে। ১৪২ তালা টাওয়ার নির্মাণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনতে হবে। জলসিঁড়ি-বসুন্ধরার সাথে বিল্ডিং করার ক্ষেত্রে বৈষম্য দুর করতে হবে। ছিন্নমূল আদিবাসীদের ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করতে হবে। জিলমিল উত্তরা ১৬ শতাংশ ক্ষতি গ্রস্ত প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয় আমাদের মাঝে বৈষম্য দুর করে ১৬ শতাংশ প্লট বরাদ্দ দিতে হবে। শেখ নজরুল ডিরেক্টর ও শেখ শাহিন কালো আইন করে আদিবাসীদের জেনারেলের নামে ২ লাখ অতিরিক্ত ফ্রি সহ সকল হয়রানি বন্ধ করতে হবে।