গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৯ বছরের এক শিশুকন্যা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের পাখরপাড় গ্রামে। গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ শিশুটির চিকিৎসা চলছে। এ ব্যাপারে ওই শিশুর বাবা বাদি হয়ে গতকাল কোটালীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ধর্ষক মনোতোষ মধু উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের পাখরপাড় গ্রামের মনোরঞ্জন মধুর ছেলে।
অপরদিকে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী পাখরপাড় গ্রামের একটি মিশনারী স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে।
জানাযায়, গত শুক্রবার (৪অক্টোবর) রাতে মাতৃহীন ওই স্কুল ছাত্রী ঘরে বসে বই পড়ছিল। এ সময় তার বাবা পারিবারিক কাছে বাহিরে থাকায় শিশুটিকে ঘরে একা পেয়ে পাশ^বর্তী বাড়ির ইজিবাইক চালক মনোতোষ মধু (২৪) তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
শিশুটির বাবা জানান, ৩ বছর আগে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর বাড়িতে মাতৃহীন ৯ বছরের কন্যাশিশুকে নিয়ে থাকি। মেয়েটি স্থানীয় মিশনারী স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। গত শুক্রবার (৪অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে পাশ^বর্তী চায়ের দোকানে গেলে ফাঁকা ঘরে একা পেয়ে একই গ্রামের মনোরঞ্জন মধুর ছেলে মনোতোষ মধু (২৪) মেয়েটির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। মা মরা মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ও আত্মীয়স্বজনের সাথে আলাপ করে লোকলজ্জার ভয়ে বাড়িতে চিকিৎসা দেই।
বরিবার (৬অক্টোবর) মেয়েটি গুরতর অসুস্থ হয়ে পড়লে কোটালীপাড়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসি। উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে মেয়েটি গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকার প্রভাবশালীদের দিয়ে আমাদেরকে হুমকি দেওয়ায় মামলা করতে দেরি হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য অখিল ওঝা জানান, ধর্ষক মনোতোষ মধু ইজিবাইক চালক। তিনি ইতোপূর্বেও এরকম আরো ঘটনা ঘটিয়েছেন। এসব নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ-দরবারও হয়েছে। উপযুক্ত বিচার না হওয়ায় বারবার অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। তাকে আটক করে উপযুক্ত বিচারের দাবী জানাই।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, গতকাল মঙ্গলবার ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামী গাঁ-ঢাকা দিয়েছে। গ্রেফতারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নিউজ২১/রি.