নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-২০১৪ আসর বাংলাদেশে হয়েছিল। দ্বিতীয় বারের মতো আরও একবার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর এ নিয়ে ১০০ দিনও উদযাপন করেছিল বাংলাদেশ। নারী ক্রিকেট নিয়ে দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন করার পরিকল্পনাও করেছিল বাংলাদেশ। বাংলার ক্রিকেটাররা নতুন স্বপ্ন দেখছিলেন, প্রসার ঘটবে নারী ক্রিকেটের। ঘরের মাঠে নারীদের খেলা দেখে অনুজরা এগিয়ে আসবে। ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়বে। যেমনটি হয়েছিল প্রথম আয়োজনের পর। কিন্তু সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর সরিয়ে নেয় আইসিসি। বাংলাদেশের মঞ্চ চলে যায় মরুর দেশে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিসিবির সঙ্গে কথা বলেই নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া হয়।নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবার নবম আসর। ২০০৯ সালে শুরু হয়, ক্রিকেট দুনিয়ায় নারীদের এগিয়ে আনতেই আইসিসি টি-টোয়েন্টি ধুমধাড়াক্কার খেলা শুরু করে। সবচেয়ে বেশি সময় চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া, আট আসরের মধ্যে ছয় বারই তারা ট্রফি নিয়ে গেছে।
প্রথম আসরে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন, এরপর টানা তিন আসরে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়। মাঝে ২০১৬ সালে একবার আয়োজন করে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দল। এরপর টানা তিন আসরে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়। উপমহাদেশে ভারতীয় নারী ক্রিকেটারদের দাপট থাকলেও তারা এখনো ট্রফি জয় করতে পারেনি।
অন্যদিকে টি-টোয়েন্টির মঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থান খুব একটা ভালো না। প্রথম তিন আসর খেলেনি বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে আয়োজক দেশ হিসেবে খেলার সুযোগ পেয়েছিল। সেখানেই প্রথম দুটি জয় পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর টানা চার আসরে খেলেও একটি জয়ও পায়নি বাংলাদেশ। অথচ ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টি ফরমেটে বাংলাদেশের নারী দলই এশিয়া কাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, চমকে দিয়েছিল। বাংলাদেশের পুরুষ দলও এশিয়া কাপ জিততে পারেনি।
এবার তো দুবাইয়ে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি জানিয়ে গেছেন তারা স্মরণীয় একটা কিছু করতে চান। কঠিন প্রতিপক্ষ হলেও মনোবল বেশ দৃঢ়। এরই মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরেছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতেছে। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক ক্যাথেরিন বলেছেন, ‘আমরা প্রস্তুতি ম্যাচে ফ্যান্টাস্টিক ক্রিকেট খেলেছি। এখন আমাদের পারফরম্যান্স বিচার করার পালা। আমরা দেখাতে আসছি কতটা উন্নতি করছি।’
আজ বিকাল ৪টায় শারজাহতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষের নাম স্কটল্যান্ড। পরিসংখ্যান বলছে, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ এখনো হারেনি। দুই গ্রুপে ১০ দলের লড়াই, সেমিফাইনালে উঠবে চার দল। ফাইনাল ২০ অক্টোবর। বিস্তারিত খেলার পাতায়।