ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই কলেজের ছাত্রী আইরিন আক্তার তিথিকে পাশবিক নির্যোতনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে পুলিশ। পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে তিথিকে ধর্ষণসহ নির্যাতনের নানা তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকেলে তিথির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে রোববার বিকেলে শৈলকুপা উপজেলার দুধসর গ্রামের একটি কলাক্ষেত থেকে তিথির অর্ধগলিদ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় তিথি।
এদিকে তিথির লাশ উদ্ধারের পর প্রতিবেশি কালু ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ির মালামালসহ পালিয়ে গেছে। এতে পুলিশের ধারণা, কালু এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
তিথির পরিবারের দাবী গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ০১৯০৮-৪৬২৬৬১ নাম্বার থেকে ফোন পেয়ে তিথি প্রতিবেশি কালুর বাড়িতে যায়। সেই থেকে তিথি নিখোঁজ ছিল। রোববার সকালে শৈলকুপা থানায় তিথির বাবা মিঠু একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর বিকালে তিথির মরদেহশ উদ্ধার হয়।
তিথির মা রেখা বেগম অভিযোগ করে বলেন, শৈলকুপার ফুলহরি ইউনিয়নের ভগবাননগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে রাকিব প্রায়ই তাদের মোবাইলে ফোন করে হুমকি দিত। তার সঙ্গে তিথিকে বিয়ে না দিলে ক্ষতি হবে বলে শাসাতো। প্রতিবেশি কালুকে দিয়ে ডেকে নিয়ে তিথিকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হতে পারে বলে তিথির মা অভিযোগ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান হাজরা জানান, তিথি হয়তো আরও দুই দিন আগেই নিখোঁজ হয়েছিল। কারণ দুই দিনে লাশ পচে যাওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে এটা ঠিক, তবে ধর্ষনের বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর সব কিছু জানা যাবে। পুলিশের সন্দেহের তালিকায় বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম প্রতিবেশি কালু। তাকে গ্রেপ্তার করা গেলে হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পুলিশ পুরো ঘটনাটি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষন করছে। ২/১ দিনের মধ্যেই তিথি হত্যার সঙ্গে জড়িতরা গ্রেপ্তার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।