শিরোনাম
ফেনীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ জিয়া উদ্দিন ডালিম সহ গ্রেপ্তার ৩ সমালোচনা করুন, সমালোচনাকে সাদরে গ্রহণ করবো: মতবিনিময় সভায় যশোরের নবাগত ডিসি আজাহারুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধ চত্ত্বর ভেঙ্গে নাম দিলেন জামায়াত নগর! এলাকাবাসীর ক্ষোভ ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু  জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা  শার্শা উপজেলা শাখার সভাপতি কে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা: কী কী করতে পারবে সেনাবাহিনী ঝিনাইদহে পুলিশের এসআই এর গাড়িতে মিলল চারবস্তা ফেনসিডিল, নগদ টাকাসহ আটক ৩ জন সিরাজগঞ্জের সদর থানা এলাকা হতে ৭৪৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নওগাঁয় অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বিস্ফোরক ব্যবসায়ী আটক ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দেবর, ভাবী ও বউমার মৃত্যু কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫ ফেনীতে ছাত্র হ’ত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা রিফাত গ্রে’ফ’তার আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) দেশজুড়ে বৃষ্টি ঝরবে আরও তিনদিন নওগাঁয় ৪৫০ পিচ ইয়াবাসহ আটক-২ বেনাপোলে সাংবাদিক এর নামে মামলা দেওয়ায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের সীমান্ত দিয়ে ইলিশ পাচার হচ্ছে ভারতে লালমনিরহাটের বড়বাড়ীতে নারী ফুটবলারদের এক প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত ফেনী বন্যার্ত ক্ষতিগ্রস্তদের বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন এর আর্থিক অনুদান প্রদান নওগাঁয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময় সভা ও শহীদদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

জ্ঞান ফিরলে দেখি বদ্ধ কক্ষে লা.শে.র স্তূপে আটকে আছি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় : শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪

গত ৫ আগস্ট সকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় একদিকে ছাত্র-জনতা অন্যদিকে দুই থেকে আড়াইশো পুলিশের অবস্থান। হঠাৎই গুলি ছুড়তে শুরু করে পুলিশ। তখন অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। আমারও ডান চোখে, মাথা ও শরীরে ছররা গুলি লাগে। আমি সড়কে লুটিয়ে পড়ি। ওই সময় পুলিশের একটি দল আমার কাছে এসে পেটাতে শুরু করে। এক চোখে গুলি লাগে, আরেক চোখে বুট (জুতা) দিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।তিনি বলেন, ‘যখন জ্ঞান ফেরে তখন দেখি একটি বদ্ধ কক্ষে লাশের স্তূপে আমি আটকে আছি। আমার শরীরের ওপর কারও মাথা, কারো হাত-পা ও দেহাংশ। এক চোখে গুলি লাগায় সেটি দিয়ে কিছুই দেখতে পারছিলাম না। অন্য চোখে আবছা আলোয়ে লাশগুলো দেখতে পারছিলাম। তখন আমি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করি। তখন দুজন পুলিশ আমাকে টেনে বের করে লোকচক্ষুর আড়ালে রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর আমার চিৎকারে একজন বৃদ্ধ লোক এসে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুই ভাইবোনের মধ্যে শ্রাবণ বড়। ময়মনসিংহ নগরীর পুলিশ লাইন্সের জেল-রোড কাশর এলাকার মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে। আনন্দমোহন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। অভাবের তাড়নায় পড়াশোনার পাশাপাশি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন মেরাজ উদ্দিন শ্রাবণ।

শ্রাবণ শুরু থেকেই যুক্ত ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে। কিন্তু ৫ আগস্ট সকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় পুলিশের হামলার শিকার হন তিনি। ছররা গুলি লাগে ডান চোখে, মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে। এরপর আহত শ্রাবণের ওপর নির্বিচারে চলে পুলিশের লাঠিপেটা ও বুটের লাথি। পুলিশের ছররা গুলিতে হারিয়েছেন এক চোখ। অপর চোখটিও বুটের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত। শরীরের গুলি বের করা হলেও চোখের ভেতরে দুটি ও মাথায় চারটি গুলি বয়ে বেড়াচ্ছেন এখনও। গুলিবিদ্ধ চোখে দৃষ্টি নেই। সেই দৃষ্টি কখনও ফিরবে কিনা তাও জানা নেই। শ্রাবণের জীবনে এখন ঘোর অমানিশা।

বাবা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘৬ আগস্ট ভোরে ময়মনসিংহ থেকে গিয়ে ছেলেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। কিন্তু চিকিৎসকেরা অবস্থা খারাপ দেখে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ৬ আগস্ট রাতেই চোখের টিস্যু সার্জারি করা হয়। কিন্তু গুলি বের করা যায়নি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, চোখের গভীরে চলে গেছে গুলি। অস্ত্রোপচার করে বের করতে গেলে চোখ একেবারে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে আমার ধারণা ছেলেকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা করানো গেলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

 


এই বিভাগের আরও খবর