শিরোনাম
১০ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ রেখে গেছে শেখ হাসিনা সরকার ফেনীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ জিয়া উদ্দিন ডালিম সহ গ্রেপ্তার ৩ সমালোচনা করুন, সমালোচনাকে সাদরে গ্রহণ করবো: মতবিনিময় সভায় যশোরের নবাগত ডিসি আজাহারুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধ চত্ত্বর ভেঙ্গে নাম দিলেন জামায়াত নগর! এলাকাবাসীর ক্ষোভ ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু  জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা  শার্শা উপজেলা শাখার সভাপতি কে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা: কী কী করতে পারবে সেনাবাহিনী ঝিনাইদহে পুলিশের এসআই এর গাড়িতে মিলল চারবস্তা ফেনসিডিল, নগদ টাকাসহ আটক ৩ জন সিরাজগঞ্জের সদর থানা এলাকা হতে ৭৪৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নওগাঁয় অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বিস্ফোরক ব্যবসায়ী আটক ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দেবর, ভাবী ও বউমার মৃত্যু কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫ ফেনীতে ছাত্র হ’ত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা রিফাত গ্রে’ফ’তার আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) দেশজুড়ে বৃষ্টি ঝরবে আরও তিনদিন নওগাঁয় ৪৫০ পিচ ইয়াবাসহ আটক-২ বেনাপোলে সাংবাদিক এর নামে মামলা দেওয়ায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের সীমান্ত দিয়ে ইলিশ পাচার হচ্ছে ভারতে লালমনিরহাটের বড়বাড়ীতে নারী ফুটবলারদের এক প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত ফেনী বন্যার্ত ক্ষতিগ্রস্তদের বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন এর আর্থিক অনুদান প্রদান
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন

ফেনী ভয়াবহ বন্যায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে কৃষিখেত ক্ষতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯শ কোটি টাকা

আর.এ.জাবেদ, ফেনী
আপলোড সময় : শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪

মানবিক বিপর্যয়কর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ফেনীর জনপদ। বন্যা কবলিত নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে স্পষ্ট হয়েছে ক্ষতচিহ্ন। জেলার ছয় উপজেলায় বন্যায় কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯১৪ কোটি টাকা। তৃতীয় দফায় বন্যায় ছয়টি উপজেলায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে ৪৫১ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি। এতে প্রায় দুই লক্ষাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার ৩০ হাজার ৩৫২ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পরশুরামের কাউতলি গ্রামের কৃষক আলী আহম্মদ বলেন, ‘তৃতীয় দফার বন্যায় সবগুলো ফসলি জমি এখন বালুর স্তুপ হয়ে আছে। কোনভাবে আবাদ করে খাবো এমন পরিস্থিতি আর নেই।’

ভয়াবহ খাদ্য সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছি আমরা। জমির ফসল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ঘরে থাকা ধান-চালও পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে আবাদ করার মতো কোন পরিস্থিতি নেই বলেও সাইদুল ইসলাম নামে আরেক কৃষক জানান।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. একরাম উদ্দিন বলেন,’বন্যায় কৃষিতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। আমাদের জেলা কার্যালয়ও বুক পানিতে নিমজ্জিত ছিল। তারপরেও আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং তাদের নানা পরামর্শের মাধ্যমে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কৃষকদের আমনের চারা প্রদান করার ব্যাপারে দাপ্তরিকভাবে একটি কথা উঠে এসেছে। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আগাম জাতের কিছু ফসল আবাদের বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, এবারের বন্যায় প্রাণিসম্পদ খাতে এখন পর্যন্ত ৩৯৬ কোটি ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৩ টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে

বন্যার পানিতে নিমজ্জিত ছিল ফুলগাজী, পরশুরাম ও ফেনী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়।

ফুলগাজীর আলমগীর হোসেন নামে এক খামারি জানান, বন্যার ১৫ দিন আগে খামারে মুরগি নিয়েছিলাম। কোনো কিছুই সরাতে পারিনি। দেড় হাজার মুরগি, সঙ্গে খাবারসহ অন্যান্য সব জিনিসপত্র পানিতে ভেসে গেছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠা কোনভাবেই সম্ভব না। এখন যদি স্বল্প সুদে ক্ষুদ্র ঋণের সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে অনেকে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

বন্যায় প্রাণিসম্পদ খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৯৬ কোটি ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৩ টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে। অনেক এলাকা এখনো পানিতে ডুবে থাকায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

খামারি ও কৃষকদের সহায়তা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. মো. মোজাম্মেল হক বলেন, এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ওষুধ ও খাদ্য। জেলায় গত কয়েকদিনে ৫০০ কেজি খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে সমন্বয় করে আমরা খামারি ও কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো চেষ্টা করছি। এছাড়া দাপ্তরিকভাবে কোন ধরনের প্রণোদনা অথবা সহায়তা আসলে তা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করব।

ফুলগাজীতে ৬৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করা হয়েছিল। একইভাবে পরশুরাম উপজেলায় ৮০টি পুকুর ভেসে ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার মাছ ও ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকার মাছের পোনা ভেসে যায়। উপজেলায় মাছ চাষিদের অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। সবমিলিয়ে পরশুরামের মৎস্য খাতে প্রায় সাড়ে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছিল।


এই বিভাগের আরও খবর